আচ্ছা শীতে কি বর্ষা নামে?
আমি তোমার কাছে যেতেই বর্ষা ঝরে, মুষলধারে;
বাধ ভাঙ্গা প্লাবন তোমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়,-
নদীর অতল গভীর থেকে নেমে আসে বান।
কী নিবিড় প্রগাঢ় উষ্ণতা জাগে দেহে মনে
এক জন্মে তোমারে এমনি করে পাই যদি!
পাই যদি নির্মল প্রশান্ত প্রফুল্ল চিত্তে অনন্ত জীবন।
আচ্ছা তোমারে নিয়ে যাই যদি গরাণ, সুন্দরীর বনে?
বিপুল জলের পরে ভেসে জোসনায় তোমার নদীতে,
স্নান সারি! মনে হয় তোমারে পেলে থমকে যায় সময়!
তোমার দেহের মাধবী কুসুমের ঘ্রাণ, কেড়ে নেয় -
আমার চৈতন্য ; বিবশ করে মন্ত্রপুত যক্ষীর ন্যায়।
তুমি কালো মেঘের মতো খোলা চুলে;
আমার বসন্ত বনে মাতাল হাওয়া আনো।
সন্ধ্যামালতির স্নিগ্ধতা ফোটে তোমার সমস্ত দেহে;
আমার বিস্তীর্ণ কবিতার খাতা তুমি,
প্রতিটি মুহুর্ত লিখি অমর কবিতার পঙক্তি।