আমার দেহের ভেতর জমা তৃষ্ণা;
তোমার নদীর জলের অপেক্ষায় কাতর হয়;
সে কি শুধুই রাস্তার প্রেমিকেরই হয়?
আমার হৃদয় কতটা আকুল হয় তুমি কি সত্যিই বোঝ?
তবে কেন এত অবহেলা?
প্রেমের স্পর্শ কেমন হয়?
কেমন হয় প্রেমিকের আকুল আবেদন?
প্রাণ যদি কাদে? কেমন হয় সে প্রকাশ?
তোমারে কতটা ভালোবাসি,  বোঝাতে পারিনি।
কতটা কাতর হলে তুমি বুঝবে?
কত প্রার্থনা করেছি তোমার অসুস্থতায় ;
জানবে না কোনদিন।
আচ্ছা লম্পট পুরুষেরাও কারো অসুস্থতায় কষ্ট পায়?
প্রতি মুহুর্ত সাফল্য কামনা করে কায়মনে?
আচ্ছা লম্পটের কাছে কি নারী কবিতা হয়?
জীবনে সুখে-দুখে, ভরসা হয়ে ওঠে তাদের প্রেয়সী?
মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে জোসন্সায় প্রিয়ার ছবি খোঁজে?
তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে?
নদীর সাথে গভীর অনুরাগে মিশে যায় তারাও?
প্রিয়তমার গায়ের গন্ধ মেখে স্নানহীন থাকে?
স্পর্শের তুচ্ছ স্মৃতি তুলে রাখে সযত্নে?


আচ্ছা রাস্তার পুরুষেরা সযত্নে আগলে রাখে নারীকে?
আচ্ছা তারাও কি কান্না করে সামান্য অবহেলায়?
কস্টে সে সব পুরুষেরা কি জাপটে ধরে প্রিয়ারে?
প্রিয়ার নামটা ধরে অকারণে রাস্তার পুরুষেরা ডাকে আনমনে?
দূর থেকে প্রেয়ষীরে দেখলে হৃদয়ে আনন্দে তাদেরও
ভরে ওঠে?
চোখে জল আসে?
রাস্তার সেই সব লম্পটেরাও কি প্রেমিকার জন্যে স্বপ্ন দেখে?
গোপনে প্রাণভরে প্রার্থনা করে?
অসীম সীমাব্ধতা নিয়ে তারাও প্রেয়সীর মঙ্গল কামনা করে?
আচ্ছা লম্পট রাস্তার ছেলেরাও কি প্রেয়সীরে সসম্মানে আগলে রাখে?
যে প্রেয়সিকে বুকে রেখে শান্তি খোজে,
সকল কঠিনেরে হেলায় হারার সাহস সঞ্চয় করে?
সেও কি রাস্তার নস্ট প্রেমিক?
চোখের কাজল, লাল ঠোঁট যাদের হৃদয়ে অনুরাগ আনে
তারাও কি লম্পট প্রেমিক?
যদি তাই হয়?  
তাহলে হে ইশ্বর, আমাকে তুমি প্রেমিক করো না।
দোহাই তোমার!