সোনালী স্বপ্নের স্বাদ বড় তেঁতো হয়ে গেছে
চিরতা ভেজানো জলের মতো নাক টিপে গলাদ্ধঃকরণ হয়
যেভাবে গন্ধরাজ হারায় তার মায়াবী সুগন্ধ; কষ্টের সময়
বুদ-বুদ ফেনাগুলো মিশে যায় বাতাসে বাতাসে।


যেদিন থেকেই কাঁচা হলুদরং নিয়ে পৃথিবীর ভোর হতো
ছড়াতো তখন হাজার হীরক দানা...
দুব্বা ঘাসের সবুজ মায়ায় প্রসন্ন এ মাটির কোল;
সাম্পানের এপাশ ওপাশ ছিলো দিক পাড়ি জীবনের অভিপ্রায়
পাহাড়ের অলোকঝোরার মতো ধরা দিত যেভাবে....
হরপ্পা কিংবা বৌদ্ধ বিহারের মতোই ভূতলে।


যে নদী হারাতো তার গতি সীমা পরিসীমা
ভরে যেত বালু-স্তুপ জমে
মরে যেতো নদী হারাতো অমূল্য স্বত্ত্বা
তেম্নি আমার আকাশে মেঘ জমে আছে ছড়াছড়া।


জল হীন মাঠ বিবর্ণ কংক্রিট.... ভেঙ্গে যায় লাঙ্গলের ফলা
যেইখানে হলুদ পাখির মতো পেখম ছড়ানো শস্য ভালবাসা
যেইখানে ধানের নতুন শীষ আমার আন্তরে পরশ পাঁপড়ি
ফোটে অসংখ্য শুকতারা
আদর্শ মাটির চাদর মায়ের মুখের হাসির মতো আদুরে জড়ানো স্নেহাঞ্চল
তবু আমার আকাশে মেঘ জমে আছে ছড়াছড়া।


একদিন হেরার কান্নার সুরশ্রী ঝংকার কর্ণে-ই বাজতো-
ঝিঁ ঝিঁ পোকার নুপুর শব্দে রাত্রি পোহাতো প্রেমহীন প্রাণ
আধ-খানা চাঁদ উঁকিঝুঁকি দিত নক্ষত্রের দেশে....
আজ মরা নদী বাঁকে ধুঁ ধুঁ বালুচর
স্বপ্নের প্রান্তরে টোপেজ লুকিয়ে থাকে
গেঁথে থাকে কলঙ্কের দাগ নিষ্পাপ আগুনে
ছুঁড়ে পরা তারা খসার ভয়ার্ত থিম--
আমার আকাশে...
আমার দর্শনে....
আমার স্বদেশে...।