জীবনের আনন্দ
আর কতটুকুই বা বেলা আছে
নিজের ক্ষীণতম আয়ু কেঁপে কেঁপে ওঠে ঘন ঘন দুর্যোগে
শোনা যায় নারীদের  নমনীয়তায় নাব্য হয় বরফের নদী
কেন যেন মনে হয় নারীদের শরীরের উর্বরতায় বিকশিত আমি

ফুলদের সব সুরভি রমণীদের কাছাকাছি যেতে চায়
এখানে রমণীহীন নগরীর মত অভিশপ্ত জীবন
একজন নপুংসকের হাতে সব মূল্যবোধের চাবিকাঠি
কালো নেকাবের কফিনে সমাহিত  যৌবনের অনেক সোনালী আনন্দ


কেউ দ্যাখে না তোমার শরীরী এবং অশরীরী সম্পদ, জৌলুস, নৃত্যময় নিতম্ব, প্রকাশিত গ্রীবা, দীঘল চুল এবং   পরিমিত হাঁটাচলা
সনাতন  মূল্যবোধের গরাদে বন্দী  কত না  রুপালী আনন্দ
গোপনে গোপনে  তোমাকে নিয়ে  কত  না নিষিদ্ধ ভালবাসাসি
কত  না উদবেলিত জীবনের ঢেউ
নিকট দিগন্তে তোমার মহিমান্বিত অস্তিত্বের গন্ধ এবং আলো
অথচ  তোমার ত্বকের মসৃণতা আমার ঠোঁঠের নাগালের  কতদুরে
তোমার শরীরের সাথে শরীর মেশাতে চেয়ে ছিঁড়ে যায় আমার বুকের গ্রন্থি
শরীরী যোগাযোগহীন ভালবাসায় পড়ে  থাকে আমার কফিন একটি বিধ্বস্ত
বিছানায়