“আমার সন্তান থাক দুধে-ভাতে” .....
কবির অনেক স্বপ্ন ছিল .....
কবির অনেক আশাও ছিল .....
কবি কি আর জানতো সেদিন
আসতে পারে এমনও দূর্দিন .....
যখন দুমুঠো ভাত জোটাতে সূর্য ডোবে
সন্তানেরা স্বপ্নে বাটি ভরে দুধ খাবে ।
বেঁচে থাকতে চাই দুমুঠো খাবার
কাজের অভাব – সেটুকুও হয়না যোগাড়।
গরীব বাপের স্বল্প আয় .....
সংসারে অভাব তাই কানায় কানায়,
তাই—একটু পেট ভরে খাওয়ার আশায়
ঘরের কচিটা রোজ ব্যাগ হাতে কাজে যায় .....
ভাবা যায় —
ছোট্ট খোকাটার শুকনো মুখে চেয়ে
প্রভুরা খাটায় ওকে মজুরীর বিনীময়ে ।
নুন্যতম শিক্ষা থেকে নিরুপায়-ওরা বঞ্চিত
চেতনাহীন ভবিষ্যৎ জানায় ওদের সু-স্বাগত ।
লাল জামাটায় সবুজ বোতাম আঁটা
পরণের প্যান্টে সহস্র ফাটা ,
ভাবা যায় —
ছোট্ট পা দুটি বৃদ্ধ প্রায়
বড় কষ্ট হয়, আর যে চলতে না চায়,
হায় রে —
তবুও চলে দুমুঠো খাওয়ার আশায়
আঁধার দ্যাখে খিদের জ্বালায়
ভাবতে বড় কষ্ট হয় —
শিশুশ্রমিক কাজ করে পেটের জ্বালায়
হতভাগা বাপকে কি আর দেব দোষ —
কাজ দেওয়া প্রভু সেওতো র্নিদোষ —
তাহলে —
মাথাপিছু আয় বাড়বে যেদিন
হ্য়তো শিশু-শ্রমিকরা উদ্ধার হবে সেদিন .. l