(১) মদিনা ( গীতি কবিতা)


    আমার জান মদিনা আমার প্রাণ মদিনা
    মদিনা মদিনা করে যাব মদিনা।

   তোমায় নিয়ে দিনরাত আমি স্বপ্ন দেখি
    তোমার নামে দিনরাত আমি ছবি আঁকি
    তুমি না এলে জীবন দোযখখানা
    মদিনা মদিনা করে যাব মদিনা।

    কতকাল তোমায় আমি ছবি এঁকেছি
     কতকাল তোমার নামে মালা জপেছি
      পাগল দিওয়ানা- বনে একবার আসনা
      মদিনা মদিনা করে যাব মদিনা।

     আমার জান মদিনা আমার প্রাণ মদিনা
     মদিনা মদিনা করে যাব মদিনা।


   (২) সেই সেদিনের কথা


      ছেলে বেলার কথা মনে পড়ে যায়।
                   কত যে ডাংগুলি খেলতাম; চেয়ে থাকতাম আকাশের দিকে।

           মাঝে মাঝে উঠে "সেই" মেয়েটিকে মনে করতাম।সে যে একদিন বলেছিল, কাল আমরা বৌচি খেলব

         যেতে যেতে দুর্গার হাটে রূপসিনীর গল্প করতাম, সে একদিন বলেছিল- তুমি মস্ত বড় রাজ্যজয়ী হবে।

     সোম যায়, বৃহস্পতি যায় তাকে আমার মনে পড়েনা, এখন যে সে__মস্ত বড় গৃহ-বধু।

দুটি ডানায় ভর করে কত গল্প করতাম সে গল্পজুড়ে থাকত রাজ্যজয়, নীল পাদটিকা, একলাস সুন্দরীর আনাগোনা।

     আমি যদি আবার বড় হই তবে দেখব নীল পাখির ডানা ঝাপটানো, হলুদ পাখির কিচি-মিচি।

       আজ আর __ কথা নয়, আজ শুধু নীল পরী, ময়না, টিয়া আর শুক-সারীদের গল্প।


(৩) একটি গোলাপ


      ফুল আমি হাতে নেই

     এটিতে অনেক সৌন্দর্য

     মন চায় এটিকে হীরের আংটি বানিয়ে রাখি।

    ক্লীওপেট্রা তার হাতের বন্ধনীতে এটি জড়িয়ে রাখতেন।

    সীজার একদিন বলেছিল আমি দেখেছি ''পেট্রাকে আর তাকে।

মৌসুমী গন্ধের সাথে এটি সুভাষ বানিয়ে রাখলে অনেক মনো-রম হত।

  যুদ্ধে যারা যায় তারা ফুল চিনে কিনা জানা নেই; তবে যাওয়ার আগে এমন সুষমা একবার দেখে যেতে মন চায়।

          কতদিন আমি গঙ্গা নদীর পানি পান করিনি; যদি দেখতাম তাকে মন-জ্বালা জুড়াত।

     নিজের শেষ মুহূর্তে কিছু গন্ধশুকে এ জীবনের যাতনা ফুরা করার সাধ জাগে।

টিয়ে পাখি,  ময়না পাখি তাদের ঠোঁটে যে কথা কয় তা ঐ র-জ-নীগন্ধায় দেখা যায়


  
      স্বপ্ন ছিল অনেক বড়, আঁকবো ভিঞ্চি, পিকাসোর ছবি, আঁকতে পারলামনা, এঁকেছি _কে।
              আমার ''বেডের  চারিদিকে তার নাম যে শোভা পায়।



(৪) বৃদ্ধের লাঠি


   লোকটি লাঠি ভর দিয়ে হাঁটে

    লোকটির লাঠি' তুলে দাও

   সে অনেক মঙ্গল কামনা করবে

  তার দোয়ায় তুমি বেহেস্তে যাবে।



           বেহেস্তের ফলগুলো অনেক মিঠা
           সেখানে অনেক হুর-পরী থাকে
            মণিরাম, কাঞ্চা বাশিরা বলে, __তুমি এতদিন কোথায় ছিলে।
                            আমি ছিলাম স্বর্গের 'শীর্ষ' স্তরে।