মৌমাছি বলে
হে কর্কশ কবি
মৌচাকের অমৃত পান কর।
তোমার কণ্ঠে অমৃত ঢেলে দাও।
কথার ধার কিছুটা কমাও।
ক্ষিপ্ততা কিছুটা কমাও।
তোমার এক একটি কথা যেন
এক একটি নতুন চাবুক।


কিন্তু মৌমাছির অনুরোধে আমি ঢেঁকি গিলতে পারিনা।
কারণ।


যখন
ধর্ষিতা বলে
আমার কথার চাবুক
কশাঘাত করুক
কাপুরুষাঙ্গের ডগায়
শিমুল তুলার স্পর্শেও যেন ব্যথা পায়।
শিহরে উঠে।
চোখে জল ঝড়ে।
এর মুখে যেন
মা শব্দ
ও মা গো শব্দ
উচ্চারিত হয় অবিরত।


গন্ধবহ ফুল বলে
আমার কথার চাবুক
আঘাতে আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করুক নষ্টকে
ওরা যখন আমায় শুকতে আসে।
ওদের নাকে-মুখে-চোখে নেশার বিশ্রী গন্ধ পাই
বমি আসে।
অসুস্থ হয়ে পড়ি।


টাকা বলে
আমার কথার চাবুক
ক্ষিপ্রবেগে আঘাত করুক
ঘুষখোরের মগজে
ওদের হুশ জাগ্রত হোক।
সভ্য হোক আচরণে।
কালো টাকা নামক অর্থনীতিবিদের অপবাদ,
মুছে যাক।
কলঙ্ক দূর থাক।


সততা বলে
আমার থু-থু ছড়ানো কথার চাবুকের আঘাতে
মিথ্যাভাষীর জিহ্বায় টোসা উঠুক।
মিথ্যা নিপাত যাক।
মুখে-মুখে সত্য কথার ফুলঝুরি ঝড়ুক।
সত্যযুগ প্রতিফলিত হোক।


সরলতা বলে
গরল আর ছল চাতুরীর মারপ্যাঁচে
আপাদমস্তক পেঁচিয়ে গেছে।
শ্বাসকষ্টে ভুক্তভোগী।
কখন যে মরি মরি।
তোমার কথার চাবুকই আমার রক্ষাকবচ।
আমাকে বাচাও।
মানুষকে বাচাও।