কার্তিক - অগ্রহায়ণ  আসিয়াছে জানি
ভরেছে সেই চিরচেনা ফসলি জমি,
হলুদ আভায় ছড়িয়া পড়েছে আজ
দিগন্তজোড়া ফসলের ভূমি ।


কুয়াশায় আচ্ছন্ন চারদিক
দিগন্ত জোরা ধানের ক্ষেতে শিশির,
সোনার রুপসী বাংলা চিরচেনা  আজ
কৃষকের  মুখে সোনালী  হাসি সকাল সাজ ।


পাকা ধান কাটার সময় এসেছে
বাংলার ঘরে ঘরে,
শোভা দেখ কৃষকের
মন আনন্দে ওঠে ভরে।


কৃষক রাশি রাশি ভারা সোনার ধান  ক্ষেতে
ধান কাটার উৎসবে কৃষক উঠেছে মেতে ,
নতুন ফসল উঠেছে ঘরে আনন্দ সব কৃষকের মনে,
কৃষকদের ঘরে ঘরে পিঠাপুলির ধুম আয়োজনে ।


জমেছে আজ গ্রাম বাংলার মেলা
পিঠা পায়েসের উৎসবের খেলা,
নবান্ন এসেছে জেগেছে উৎসব
বাংলার রূপ আসিয়াছে ফিরে চারিদিক কলরব।


কৃষকের মন আনন্দে আত্মহারা
নতুন ধানে গোলা  ভরাবে তারা,
বহে হেমন্তের মৃদুমন্দ বাতাস
কৃষকের কেটে যায় দুঃখ - হতাশ ।


ঘরে ঘরে ধানের মৌ মৌ
গন্ধের ছড়াছড়ি,
কিষান কিষানীর  প্রাণ ,
স্বর্গের সুখে যায় ভরি ।


নবান্ন হল হেমন্তের অবগাহন যার সঙ্গে মিশে আছে
বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিক প্রাণ,
বারো মাসে তেরো পার্বণ
এ যেন বাঙালির হৃদয়ের বন্ধন ।




বজলুর রশীদ
১৮/১১/২৩
জলঢাকা,নীলফামারী