রূপার হাতে একরাশ নীল জোছনা,
দিয়ে হিমু বলেছিল, আগলে রাখ।
ময়ূরাক্ষী নদীর ধারে নীল মানুষটি
যেদিন তোমার কাছে আসবে,
সেদিন নীল জোছনা দিয়ে তাকে ভিজিয়ে দিও।
মিসির আলি, দেবীর রহস্য খুঁজতে খুঁজতে
একদিন পৃথিবীর অনেক রহস্য ভেদ করবে,
তারপরও কিছু রহস্য থেকে যাবে অন্যভুবনে।
নিশীথিনী-এর ভয়, অমীমাংসিত রহস্যে
থেকে যাব আমি এবং আমরা।
শুভ্র হয়তো বাইরের জগতটাকে
নতুন করে চিনবে,
রূপালী দ্বীপ কিংবা মেঘের ছায়ায়
ঘুরে বেড়াবে আপন মনে।
বাহিরে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ,
সে একদিন উপলব্ধি করবে,
তার জীবনে শুরু হবে এক নতুন অধ্যায়।
রূপা দারুচিনি দ্বীপে বসে ভাবে,
আমার কোথাও কেউ নেই তোমাদের এই নগরে।
সে যেতে চায় অনন্ত নক্ষত্রবীথির পথে,
হিমু হয়তো সেখানে অপেক্ষা করছে
কয়েকটি নীলপদ্ম হাতে নিয়ে।
কিন্তু কৃষ্ণপক্ষের নিশীথিনী জানে
ভালোবাসার কোনো শেষ নেই,
নক্ষত্রের রাতে দরজার ওপাশে
হিমু অপেক্ষা করে রুপার জন্য ।