রক্ত মাংসের মানুষ আমি
আগুনের ফুলকি,
বিশ্ব বিবেক জাগাবো
এবার লেখনীতে চুলকি।


জাগ্রিত ঘুম ভাঙেনা যার
নীতি কথার ঝড়ে,
মৃতু মানব বাস করে তার
মানব ফ্রেমের ঘরে।


অত্যাচারীর রুক্ষ্ম শাসন
সইব না দিবা রাতি,
দেওয়ালে পিঠ ঠেকলে তখন
রুখবে সকল জাতি।


আমি চুষকের ঠোঁটে মাখিয়ে দিব
বিষাক্ত লবন খন্ড,
বর্গা চাষীর রক্ত চুষা
করব আমি পন্ড।


আমি মহনলালের জাতি ভ্রাতা
মীরজাফরের শত্রু,
আমি সিরাজের বেশে খুঁজে দেখি
ক্লাইভের মত বিষধারী সব মিত্র।


আমি নীতির সাথে পিরিতি করি
অনৈতি করি কে  ঘৃণা,
মনুষ্যহীন মানব জাতি
সে তো পশু বলে চেনা।


দেখি স্বাধীনতা হই প্রতিবন্ধি
জনগন বাকরুদ্ধ,
এমন দেশের স্বপ্ন দেখে
করেছে কি বীর যুদ্ধ?


আমলা গনের হামলা তোপে
মুমূর্ষ সব মানব,
মানবকূলের রক্ত চুষে
প্রকাশ করে দানব।


আমি মেঘের ফাকে উল্কা দেখি
সন্ধ্যা রাতের কাশে,
উল্কা আলো আগ্নেয়গিরি
বিষ্ফোরন সেই পাশে।


আলোর কিরণ জ্বল জ্বল করে
ফুলকি কপাল জুড়ে,
তাওহীদ চেতা হৃদয় ওদের
সংগ্রাম করে নূরে।


ইটিশ ব্রিটিশ শাসন ঝেড়ে
পক্ত দলে নৌঙ্গড় কর,
ভিনদেশিদের পচ্চা ছেড়ে
সঠিক পথের দিশা ধর।


গনতন্ত্রের গুশটি কিলাই
আল কোরআনের নিশান তোল,
খোদার প্রেমের প্রেমিক তোরা
আল্লাহু আকবার বাক্য বোল্।


শনির গাট্টি নিপাত করে
সিংহ বাঘ গর্জে ফোল,
কাপুরুষের ভুষণ খুলে
বীরের পোষাক গাঁয়ে তোল।


এই বঙ্গের চতুর কোনে
ফোঁটাবো সেই তাওহীদ ফুল,
ত্যজ্য ভুমি করবো নাতো
এই বঙ্গের বিন্দু কূল।


আমি স্বাধীন চিত্তে দারাজ কণ্ঠে
করবো সেদিন কোরআন শান,
যবে অত্যাচারীর কণ্ঠ দমে
হবে নিষ্পেসিত তাদের প্রাণ।


বৈরী হাওয়া থাকবেনা আর
মাতৃস্নেহের বঙ্গকাশ,
বাদধ্য সন্তান মায়ের স্নেহ
নিবে বসে আপন পাশ।


আমি আপন সুধা মিটবো বক্ষে
দেখে মলিন দৃশ্য,
মায়ের স্নেহের সূর্য আলোয়
পরাজীত হয় বিশ্ব।


মায়ের মুখের হাসি কাড়ক
শত্রু বিশ্ব দ্বারে,
বিষের ফোড়ায় আঘাত হানি
তোর পচা ঘাড়ে।


কিলের চোটে অস্তিমজ্জায়
দিব ঢেলে শিষা,
নয়া জামানার পাল তুলেছি
কাটবে ঘোর নিশা।


নিজের গতিতে হও আগুয়ান
ওহে ফুলকি দল,
আঁধার শেষে উঠবে আলো
নিঃস্ব ওদের বল।


নিজের গতিতে চল হে ফুলকি
নিজের গতিতে চল্,
তোরাই হবি এই যামানার
সুপ্ত সৈনিক দল।