হে জগতের বীর উঁচু কর শির
জ্বালো হৃদয়ে অগ্নিশিখা,
তোদের হিম্মৎ আনিবে জয়
ভাবিস না মরিচিকা।


উঠিবে সুরুজ তরীর পালে
রাত্রিরা সহ যাত্রী,
দূর সমুদ্র পাড়ি দিবি তোরা
কঙ্কর পথ সাঁতরী।


ঊষার পথের তুষার কেটে
চলবি বজ্র দুলকি,
অাঁধার যুগে আলোর দিশা
জ্বালা আগুনের ফুলকি।


মুলক দুলক গোলক কাঁপিয়ে
ফোঁটাবী শান্তি ফুল,
শত্রু রুখিবী ইস্পাত কঠিন
ছাড়িনা জয়ের কূল।


মায়ার কুটোই চক্ষুদ্বয়ে
অাসে যদি কভু অশ্রু ,
চোখের বারি হোন না বেতাল
খতম কর জাত শত্রু।


তুই না হলে বীরের জাতি
নই তো রে তুই ডংকার,
পাহাড় ফেটে তূর্য কাঁপা
দেখা মুসলিম হুংকার।


ঈমান তাজা হিম্মৎ ওয়ালা
হয়না কভু নতো,
খোদার প্রেমে দিবা যামিনী
রয় তো সে যে ব্রত।


শত্রু বক্ষে করবি আঘাত
টর্নেডো ঝড় ঝঞ্জা,
শত্রু তরে নই তো আপোস
শত্রু রুখবি পাঞ্জা।


মিছে ক্ষমতার পাহাড় ছায়ায়
নাস্তিক বেদুইন চেঙ্গীস,
আমি স্রষ্টার ফ্লোরে নত করি মস্তক
করিনা কোন কুলস কালিরে কূর্ণিশ।


শত্রু রুখিতে হিম্মৎ লাগে
আছে অাগ্নেয়াস্ত্র ঈমান,
সূচের গুলি ভেদিবেনা দেহ
হও হে যুবা আগুয়ান।


পর্বত হয়ে দাঁড়িয়ে অটল
ইতিহাস দেয় শিক্ষা,
কালের গর্ভে নিথর সময়
নাস্তিকে প্রাণ ভিক্ষা।


হামাছ, নমরুদ,ফেরাউন জাতি
অবশেষে ক্ষমতার নিঃস্বে,
ইতিহাস আজও সাক্ষী সচল
দেখিবে তাদের উত্তসুরি
এই যামানার বিশ্বে।


নিকৃষ্ট মৃত্যুস্বাদ করবে তারা
এই ধরাকুপে ভক্ষণ,
আঁধার যুগের নগ্নতা সাজ
চেয়ে দেখো ওই লক্ষণ!


বিধবা মায়ের কঙ্কর ঠেলে
আনিবো সঠিক দিশা,
নির্যাতকের খড়গো জ্বেলে
ছাঁইকে দিবো ভিসা।


আমি বাল্য বিয়ের পথের কাটা
নিয়ম কনের আশির্বাদ,
আমি ক্যাওয়াজ করি অনিয়মের
মস্তক ফাটা প্রতিবাদ।


আমি ভীরুর বেশ উচ্ছেদ করে
প্রাণে জাগায় আশ্বাসে চঞ্চল,
আমি ঈমানিদের জয়ের নিশান
দখল করি বিশ্বাসের অঞ্চল।


আমি খেপিয়ে তুলি মানুষ নামের
পশু গনের তূর্য।
বিষের কথায় আঘাত হানি
যেমনে হানে সূর্য।


সূর্য তাপে পুড়ে অঙ্গার
বিস্তৃত ঐ সাহারা,
বুঝের দ্বারে জ্ঞান ঠুকিয়ে
দিচ্ছি রজনী পাহারা।


রোদ-বৃষ্টি তারই ভেদ
করছে যিনি আয়োজন,
ঈমান তাজা রেখে এখন
শক্ত হাতের প্রয়োজন ।


গুড়িয়ে দে অত্যাচারীর
কালো ক্ষমতার থাবা,
জয়ের নিশান উড়বে তোদের
রাখবি মনে কাবা।