হাশরের মাঠ দেখিনি কখনো দেখেছি যে মহামারি,
রোজহাশরের ভয়ানক রূপ চোখে ভাসে সারি সারি।
আল-কোরআনের পবিত্র বাণী পড়ে যতখানি জানি,
সেদিনের সেই ভয়াল চিত্র, ভেবে চোখে ঝরে পানি।
মাতাপিতা বলো বন্ধু-স্বজন কেউ কারো নয় হবে,
আত্মরক্ষা পাবার প্রয়াসে সবাই ব্যস্ত রবে।
নিজের পুন্য আকঁড়ে ধরবে, চিনবে না মা সন্তান
যেই সন্তান রক্ষা করতে দিতে রাজি ছিলো প্রাণ।
গজবের রেশ দেখে দুনিয়ায় ভাবনায় পড়ি আমি,
"কেউ কারো নয়" কথার ভিত্তি প্রমান পেয়েছি দামি।
কত না প্রখর দাবদাহ্ হবে শাস্তির দাবানল,
সৃষ্টি জগতে মন দিয়ে ভাবি ভুলে সব কোলাহল।
ভাইরাসে মরা লাশের স্বজন আসে না লাশের পাশে,
"আপনে বাঁচলে বাপের নাম" এ কথায় তারা ভাসে।
চোখের সামনে বেওয়ারিশ হয়ে হচ্ছে দাফন কতো,
সোনার অঙ্গ কাফনে মুড়ানো হয়েছে আজকে নত।
নিজের হতাশা নিজকে পোড়াবে শোধনের নেই পথ,
মহাপ্রলয়ের নিষ্ঠুরতায় দেখেছি ভিন্নমত।
চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে ভয়াল চিত্র খানি,
সাহারা হয়েছে হৃদয়পিঞ্জর নেইতো নয়নে পানি।
মায়ার তটিনী শুকিয়ে চৌচির কড়া হিসাবের দ্বারে,
পুন্যের পথ হয়েছে বিলীন ক্যামনে যায় ওপারে?
পুন্যের মেল বন্ধনে গাঁথা ওপারে যাবার সাঁকো,
মৃত্যুর কথা মনে রেখে সবে জীবন চিত্র আঁকো।