শুঁকনো হৃদয়ে পায় না বিন্দু উজ্জলাকার স্বপ্নের দেখা,
অসুস্থ্য মনে বিকৃত ভাষা যেন ঝুটা প্রাণ স্রষ্টার লেখা।
অভিমানের এক মহাসৈকতে ডুবেছে সুখের ভেলা,
দুখের রাজ্যে বাসিন্দা হয়ে খেলছে সুখ সন্ধানী খেলা।
প্রাচুর্য্যেরই দাম্ভিকতায় প্রতিনিয়তই যার সম্মান খসে,
আত্মস্বার্থের পাজর ডিঙিয়ে অন্যত্রকে গর্জনে কষে।
অগ্নিফুলকি জাগ্রত হয় দাজ্জালি রূপ নয়ন আকাশে,
তার গর্জনে সিংহ হারায় কানপেতে শুনি পূর্ব বাতাসে।
ধূসর পৃথিবী নিশ্চুপ হয়ে দেখছে ক্রোধের পর্বতখানি,
জ্ঞানের পরিধি শূন্য কুঠির নেই ঘটে তার গ্রন্থেরবাণী।
অগ্নুৎপাত লাভার দৃশ্য জ্বলে উঠে তার অন্তরঘরে,
অভিমানের সে মহাসৈকতে সাঁতার দিচ্ছে ভিন্নস্তরে।
বুঝের সীমায় শয়তান পোষে ধৈর্য-সহ্য করেছে বিলিন,
আশাহত তার জীবন-প্রণালী ক্রমশে হচ্ছে দীর্ঘ মলিন।
রাতের আঁচলে ঠাণ্ডা মগজে চিন্তারাজ্যে পদার্পণ করে,
ভুলের কবলে নিমজ্জিত সে বুঝবে প্রলয় বজ্রের পরে।
অভিসারে রোজ সন্ধান করি উত্তরণের সৈকত তীর,
পূর্ব রবির সোনালি কিরণে অভিমান সব ছাড়ুক নীড়।
শিশিরবিন্দু হয়ে ঝরে যাক অভিমানের সে অট্রোলিকা,
নিষ্পাপ হয়ে বাঁচতে শিখব প্রয়োজনে হব পিঁপিলিকা।