খোদার তরফ থেকে এলো ফরমান,
সব চেয়ে প্রিয় বস্তু করো কোরবান।
জাতির পিতা সদাই ভাবেন মনে মনে,
প্রিয় বস্তু কিবা আছে আমার এজীবন?
প্রিয় বস্তু খুঁজিতে প্রহরী মনের তল্লাটে।
তল্লাট খুঁজে প্রহরী নজর পায়না প্রিয় বস্তুর দর্শন,
প্রজ্ঞাপন ময় জারী আসে নুরে আকর্ষণ।
জঠরও নিধিরার প্রিয় বস্তু হলো ইসমাইল সন্তান,
এক আকাশ সূর্যসম প্রিয় সন্তান করো কোরবান।
দ্বিধাগ্রস্থ ভাবনার কলিডোর ফেলিলো স্তুপে,
স্রষ্টার ফরমান করিলো সন্তানের সমিপে পেশ।
চক্ষু পাহাড় ফেঁটে অশ্রুজল কপল ম্লান,
খোদার সান্নিধ্য ক্ষত করে দিওনা মায়ার রশ্মিতে টান।
বিন্দু সময়ের জন্য আপনারে, আমারে করোনা অপরাধী,
আর লইতে দিওনা পৃথিবীর নির্মল বায়ু,
গলে পরায়ে দাও কোরবানী সমাধি।
করিতে পারিনা আমি আপনারে জন ভরা
দরবারে শ্রেষ্ঠ আসামী।
দিলতেজ খুশ রেখে রাঙাও তুমি স্রষ্টার আদেশের প্রভাতী ।
অশ্রুকে খুন করে শক্তের বাঁধ বাঁধে পিতৃআখি,
পিতৃপুত্রি নিয়াত অটুট সক্রি,
তাজ্জব নুর জাহান বাসী।
সমস্ত শক্তি স্বনচার করে, স্রষ্টার নাম লয়
মুখে,সমস্ত শক্তি প্রকাশ করে ছুরির পিন্ডর তলে, আপন সন্তানের গলে।
স্রষ্টা দেখে মুগ্ধ পিতাপুত্রের নিয়াত ভার,
শত প্রয়োগে কাটেনা ছুরি,
তুলে নিয়েছে খোদা ছুরির শানিত ধাঁর।
পিতৃপুত্রির নিয়াতে তৃপ্ত মহানুভবতা,
নুরেরে আদেশক্রমে ইসমাইলে আসনে বসালো দুম্বা।
হাজারও শুকরীয়া শুপিলো স্রষ্টার দরবারে,
সেই থেকে হালাল পশু দ্বারা কোরবানী করার রীতি চালু জগতও সংসারে।