ভাগ্য তটে শ্যাওলা এরা,
বাংলা মায়ের জ্বলে,
ঝুটা অন্নে তৃপ্তি মেটায়,
কলা পাতার থালে।
চোখে মুখে করুন  অগ্নি,
জ্বলছে আপন চিত্তে,
জন্মগুরুর দোষায় তাঁরা,
অন্ন, বস্ত্রের বিশ্বে।
কেশের রঙে জং ধরেছে,
দেহের প্রতি নেই মায়া,
ছেড়া বস্ত্রে তালি মেরে,
ইজ্জতে দেই পাহারা।
ঝুটা অন্নেও বেজায় খুশি,
পায়লে সময় মত,
কাকের লালায় দগ্ধ খাবার,পেট করে যে ক্ষত।
মনের স্বপ্ন দিয়েছে এরা, সহসা জলাঞ্জলি,
সারা প্রহর কাগজ খুটেও,
পায়না সুখের তরী।
মাথার কেশে খুকশির আবাস, রয় যে বার মাস,
রোগ সয্যায় হয়না সেবা,
এটাই পরিহাস।
তৈল জলের ওই মাখুম পরশ,পায়না তাঁরা কভু,
এদের কষ্ট দেখেও কেন,
দেখেনা ওই প্রভু?
দেহ জুড়ে প্রলেপ পড়েছে, শুধুই মলার কালি,
সাত জনমে হয় কি গোসল,জানে অন্তর জামী।
নিদ্রা যাপন করে এরা খোলা পথের খাটে,
ক্ষুধা পেলে ছোটে আবার,
ডাসবিনের ওই লাটে।
শীতের চোটে কাঁপছে ওরা, মানব কুলের মাঠে,
এক খন্ড গরম কাপুড় দেইনা ওদের হাতে।
আদিম শীত উপঁসে এসে,
করে তাঁদের গ্রাস,
কষ্টের মধ্যো মনি হয়ে,
জীবন কাটায় বার মাস।
চটের লেপ জড়িয়ে দেহে,
কমায় শীতের তেজ,
গরম কাপুড় পায়না এরা,
এটাই ডিজিটাল বাংলাদেশ।