সাধারণ চক্ষু দেখে যেখানে
অতৈলাক্ত রুক্ষ্ম খড় খড়ে ঢেলা,
কবি'র চক্ষু দেখে সেখানে,
শহিদের রক্তে কেনা স্বর্ণে দলা।
এ স্বর্ণ ভূমিক্রয় করেছে বাঙালী সম্ভ্রম ও রক্ত পরিমাপে,
মা বৌনের সম্ভ্রম খেয়েছে চুষে ঐ পাকহানা কাকে।
সাদা চক্ষু দেখে যেখানে,
জোঁনাক জ্বলা ঝিঝির শব্দ মাখা রাত্রি,
কবির নেত্রে ভেসে আসে,
২৬ শে মার্চের অগ্নিঝরা রাত্রি।


শাসকের কবলে জনগণ শোষিত হলে,
কেঁদে ওঠে কবি'র হৃদয় চক্ষু,
শিশিরের ছদ্মবেশে জলজলিয়ে অনর্গল
ঝরে পড়ে শহিদের অশ্রু।


সূর্য যুবকের মাঝে দেখিতে পায় কবি,
নবাব সিরাজের ছাঁয়া,
বিশ্বাস ঘাতকতার ছোঁবল দেখিলে উড়ে সেখানে
মীরজাফর ও ঘসেটি বেগমের যড়যন্ত্রের ধোঁয়া।


সাধারান চক্ষু দেখে যেখানে,
খাদ্য সংকটে দরিদ্রা জনের মৃত্যু,
কবির নয়নে ভেসে আসে নিমেষে তিতাল্লিশের দূর্ভিক্ষ।


সাদা নয়ন দৃষ্টি ক্ষমতা অথৈজলের উপরে,
কবির দৃষ্টি বিস্তৃত,
হিরামানিক খোঁজে জলের গর্ভে।
সত্যের বৃক্ষ রোপনে কবি জাগ্রত দিবানিশি,
সাদাবাটা চোখের পর্দা ভেদ করে কবি হয় রৃষি।
যেখানে সাদা চক্ষু নিমেষে
যায় ক্ষয়ে,
সেখানে কবির চক্ষু নিয়ে আসে জয় ছিনিয়ে।