ধূলোর মলাটে পড়ে আছে চাপা স্মৃতির ডায়েরি খানি,
ফেলে আসা স্মৃতি ব্যস্ত জীবনে ডাকে দিয়ে হাতছানি।
মলাটের ভাঁজ, ভেঙে আমি যত ডায়েরির পাতা খুলি,
হারানো সেদিন পাতা ভরে পেয়ে ব্যস্ত জীবন ভুলি।


বন্ধু-স্বজন খুঁজে পায় তাতে জেগে উঠে ছেলেবেলা,
হারানো বিকেলে বাড়ির উঠানে বসতো খেলার মেলা।
উচাটন মন পাখির ডানায় উড়তো গগনজুড়ে,
রং বে রঙের ঘুড়ির বাহার খেলতো আকাশে উড়ে।


মনের আঁধারে আলো হয়ে ওই জ্বলে ওঠে সেই বাতি,
চেনা মুখগুলো বাস্তবতায় গড়তে ব্যস্ত খ্যাতি।
ব্যস্ত জীবনে বেহুশ সবাই দ্যাখে না পিছন ফিরে,
বর্ণিল স্মৃতি আমার আঙিনা রেখেছে সদাই ঘিরে।


পাঠ্য বইয়ে কলম খুচিয়ে হিজি-বিজি ছবি আঁকা,
 ভিন্ন পোজের মানুষের ছবি কেটে-কুটে করা বাঁকা।
পরতে পরতে ভেসে উঠে সব ডুবে যাওয়া স্মৃতি তরী,
সংসার চাপে আহত হচ্ছে শৈশব নগরপরী।


আষাঢ়ের ঢলে মাছের জোয়ার উঠতো যখন খালে,
খুশির সমীর ঢেউ খেলে যেতো প্রতিটা মনের পালে।
সেই দিনগুলো সঞ্চিত রবে স্মৃতির ডায়েরি পাতে,
ধূলোর পোকায় কুরেকুরে খেয়ে করবে সাবাড় তাতে।
((মাত্রাবৃত্ত ছন্দে, পর্তুাল থেকে))