ইউরোপ-আমেরিকা স্বপ্নটা মরীচিকা দেখি সুস্থ্য নয়নে,
অধরার নীড় দেখে ভরসার গান লিখে থাকি মগ্ন শয়নে
স্বপ্নের সেই সুরে যায় ছুটে বহুদূরে এসে দেখি মরীচিকা,
তর্জনী ইশারায় ডাকে তার ঠিকানায় হয়ে যাই চামচিকা


মমতার বিষপোকা সর্বদা একরোখা কুরে খায় হৃদনীড়,
আত্মদহনে পুড়ি হতাশার কত ঘুড়ি ডিগবাজি দেয় স্থির
স্বস্তির শ্বেত আলো গল্প লেখে রসালো ধৈর্য্যের পরীক্ষায়
বলিষ্ঠ উদ্যোগ নিজেকে দিয়ে নিয়োগ মর্যাদার দীক্ষায়।


ভুলণ্ঠিত সেদিশা নেত্রে প্রখর নেশা ঝরে আষাঢ়ের বারি,
প্লাবনের বর্ষণে ভ্রু-পাতার ঘর্ষণে ব্যথায় ভরা আহাজারি
জঙ্গলে দাবানল পানিতে করে শীতল মনন নিভায় কীসে
কত দিবস ও রাতে ধোঁকায় অন্তঘাতে পবিত্রতার বিষে।


পর্বত শৃঙ্খল হতাশার---- মেঘ দল দাঁড়িয়ে অবুঝ পাশে,
মেঘেদের দমকায় মনপাখি- চমকায় স্বপ্ন উড়ে বাতাসে।
ডানাভাঙা পাখি হয়ে- স্বপ্নরা যায় রয়ে অন্তর সীমানায়,
সুস্থতা কতদামী টেরপায় মৃত্যুগামী ধুঁকায় সে কিনারায়


স্বপ্নেরা হয়ে লাশ ফেলেমন দীর্ঘশ্বাস অচীন গহীন বাঁকে
নিশুতি রাত্রিবেলা মরীচিকা করে খেলা হৃদয়বৃক্ষ শাখে
খুলে দেখি বাতায়ন পাশে নেই আমরন স্বপ্ন হয় নিখোঁজ
প্রবাস জীবনতরী ভেসেচলে নিরবধি করে অর্থের খোঁজ


রক্তকে করে ঘাম শ্রম দেয় অভিরাম প্রবাসের বনবাসে,
কঠিন পরিশ্রমে হাসফাস করে দমে রাত যায় দীর্ঘশ্বাসে।
পরিচিত কত মুখ বাড়ে মায়ার অসুখ ব্যথা অন্তরজুড়ে,
স্বপ্নরা যায় সরে মরীচিকা বাস করে আমার গগনপুরে।
((মাত্রাবৃত্ত ৮+৮+৮ ছন্দে,,,পর্তুগাল থেকে))