যুগের বায়ু পাল্টে গেছে শেষ জামানার কালে,
শেয়াল এখন কামড় মারে হিংস্র বাঘের গালে।
ইঁদুর-বিড়াল প্রাণের বন্ধু---এই সমাজের ঘরে,
পোষা কুকুর আর ছোটেনা আনতে শত্রু ধরে।
ন্যাংটি শেয়াল বনের রাজা আর মানেনা হাতি,
সিংহ এখন শেয়াল পিছে ছুটছে দিবস-রাতি।
বনবিড়াল ও যুক্তি করে হাঁস-মোরগের সাথে,
তোদের সাথে শত্রু হয়ে লাভ কী বলো রাতে?
মশার বিষে মানুষ মরে ভাবতো কি কেও কভু?
পাপের পাহাড় আকাশচুম্বী, দিচ্ছে গজব প্রভু।
উল্টো হাওয়া চলছে ভেসে এই সমাজের তরে,
ভিখারীর গম যাচ্ছে এখন চেয়ারম্যানের ঘরে।
মানিদের মান নিলাম করে রাখাল পাতি নেতা,
বিচার কাজে হাক মারিয়া সাজে স্বাধীনচেতা।
অশিক্ষিত মূর্খ রাখাল ------ধরছে পাড়ার হাল,
হিংস্র নখের আচঁড় দিয়ে ছিঁড়ছে শান্তির পাল।
নির্যাতিত হচ্ছে টিচার---------ছাত্র কবল হতে,
এমন ছাত্র বিরাজ করছে  দেশে হাজার শ'তে।
পিতা পুত্রের আচার দেখলে প্রাণে জাগে ভীতি,
আদবকায়দা নেই ভূবনে--- আছে শুধুই স্মৃতি।
শেষ জামানায় পাপের ফসল ফলছে পথেঘাটে
পুরুষ এখন ঘরে থাকে --------নারী যাচ্ছে হাঁটে।
পরিবারের হর্তাকর্তা---------- সবই এখন নারী,
বউয়ের সাথে পারেনা পুরুষ করতে খবরদারী।
কনেযাত্রী নিয়ে নারী ---------যাচ্ছে বরের বাড়ি,
বর যেন আর নইত পুরুষ পরছে বৌয়ের শাড়ি।
সভ্যতাতেও উল্টো হাওয়া বইছে সমাজ গাঁয়ে,
পুরুষজাতি হচ্ছে বেকার ---নারী দাঁড়ায় পায়ে।
পাতি থেকে রাষ্ট্র নেতা ----সবখানে জল ঘোলা,
শেষ জামানার উল্টো হাওয়া মন হল পথভুলা।
স্বরবৃত্তে