পতির  সমাধি
অক্ষির সিন্ধুতে
অশ্রু নেই দয়িতার।


এক পথিকের অভিযোগ
শুনে লোকের বলাবলী
লাশের দাফন নিয়ে দরকষাকষি
আজ দয়িতার অক্ষির সিন্ধুর জল
চুয়ে চুয়ে পড়বে।


রোধনের আর্তনাদ চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে
অন্তরিক্ষ অনিল অটবি আত্মা জগৎ নিখিল
নিঃস্তব্দ  আল্লাহর কাছে আরজি করবে।


ফিরে দেওয়া যায়না দয়িতার পতিকে  ?
আল্লাহর চিরন্তন বাণী ভাসবে
সান্ত্বনার হাতছানি দয়িতাকে বুঝাবে।


ফিরে পাবে তোমার পতিকে
আখিরাতের জিবনে।
অপূর্ব ক্ষমা করে বিদায় দিয়ে দাও


তবে আজ অন্য রকম দৃশ্য!
হতবাক হয়ে যাই লিখব কি ভাবে এই কাব্য
স্বার্থটাই জীবনের অক্ষির সিন্ধু শুকিয়ে  দিয়েছে।


সারা জীবন প্রতিটি দিবস দিন রাত্রিতে অশ্রু ঝড়ছে।
আজ মনে হয় সারাজীবনের
দয়িতার অশ্রুর ঋণের দাবি দয়িতার প্রশ্ন?


শেষ বিদায়ে বাধা
জোয়ারের সময়  উদকের সংকটে অক্ষির সিন্ধুতে অশ্রু নেই।


নিলজ্জভাবে কৃতকার্য নিয়ে হাজার তালবাহানা
তবে দাফনের কাজ শেষ করতেই হবে।


দয়িতা হেরে গেল তার পতির কাছে।
নিলজ্জ ভাবে বিদায় নিয়ে চলে গেলো পতি।
শেষ বিদায়ে ঘৃণ্যিত ক্ষমা
ইতিহাস হলো স্বাক্ষী।