পেটের ক্ষুধা নিবারণে
কত কিযে খাও!
সকাল দুপুর সন্ধ্যারাতে
যখন যা পাও।
চুমু খাওয়া কপালেতে
শিশুদের আদর,
ফসলের দোল খাওয়া
সবুজের চাদর।
পাকখাওয়া স্রোতে যখন
ডুবে যায় তরী,
গালি খায় মাঝির বেটা
আহাম্মক মরি!
ঘুষখোরে ঘুষ খায়
সুদখোরে সুদ,
নেশাখোরে নেশা খেয়ে
নেশায় ডুবে বুদ!
অপমানে জুতা খাওয়া
ভিড়ের মধ্যে ধাক্কা,
বিড়ি খাও, রোগ বাধাও
অল্পতেই অক্কা!
ফুটবলে গোল খাওয়া
গায়ে লাথি মারি,
চলতি পথে হোচট খেয়ে
ব্যথা লাগে ভারি!
ভ্যাপসা গরমে মরি
পাখার বাতাস খাও,
জীবনভর নুন খেয়ে
তার গুন গাও।
বড়লোকে হাওয়া খেতে
ছুটে সাগর পানে,
তেলে জলে মিশ খেতে
পাইনি কোনখানে।
পিছলে ঘাটে নামতে গিয়ে
আছাড় খেয়ে পড়ি,
বুড়োলোকের হাতে থাকে
মোচড় খাওয়া ছড়ি!
আসামী পালাতে গিয়ে
গুলি খায় পুলিশের,
আলু কিংবা কচু দিয়ে
মাথা খাও ইলিশের।
বনের পশু তাড়া খেয়ে
ছুটে গভীর জঙ্গলে,
মায়ের বকুনি খাওয়া
জীবনেরই মঙ্গলে।
পড়া যদি না পার খাও
কানমলা স্যারের,
অযথাই লাঠির খোঁচায়
গুঁতো খাও ষাঁড়ের।
তড়িঘড়ি খাবার খেতে
যদি বিষম খাও,
দিব্যি দিতে স্ত্রী বলে-
‘আমার মাথা খাও।’
অসাধ্য সাধন করতে
আদা জল খাও,
এত খেয়েও মন ভরে না!
কচুপোড়া,ঘণ্টা খাও!