চলার পথে শুধাই আমি মেঠো পথের কাছে
বলতে পারো নূপুর পরা মেয়ে কোথায় আছে?
মেঠোপথটি বললো হেসে, হাঁটতো আগে রোজ
জানি না ভাই কোথায় আছে, করতে থাকো খোঁজ।


শিশির ভেজা ঘাসকে ছুঁয়ে প্রশ্ন করি ভাই
বলতে পারো আলতা পরা মেয়ে কোথায় পাই?
রোদের তেজে শিশির কণা বললো এখন যাই
আলতা পরা মেয়ের খবর আমার কাছে নাই।


দৌড়ে গিয়ে মনের কথা বলি ফুলের সনে
অচিন মেয়ে সুবাস নিতে আসে কী এই বনে?
ফুলগুলো সব বললো কেঁদে, আসতো আগে রোজ
শুধাও গিয়ে প্রজাপতি দিতেও পারে খোঁজ।


ফুলের উপর প্রজাপতি বসে ছিলো একা
বললাম তাকে ''ও ভাই আজ পেয়েছো তার দেখা?''
প্রজাপতি ডানা মেলে বললো আমার ধীরে
আসতো আগে রোজ বিকেলে, যেত আবার ফিরে।


হন্যে হয়ে খুঁজি আমি, কোথায় তাকে পাই?
খুঁজতে খুঁজতে বহমান এক নদীর কাছে যাই,
বিনয় করে শুধাই তাকে, ও রূপসী নদী -
যৌবন ভরা মেয়ের খবর আমায় দিতে যদি,
কল-কল-কল সুর তুলে বললো আমায় ''পাজি!''
এসব খবর আমি না ভাই, দিতে পারে মাঝি।


ডিঙি নায়ের মাঝির কাছে গিয়ে বলি ভাই
নদীর মতো শীতল একটি মেয়ের খবর চাই,
বললো মাঝি, "জানি না ভাই চালাই সদা নাউ
কেমনে বলি এসব কথা? অন্য কোথাও যাও।"


রাতের কাছে গিয়ে আমি বলি কানে কানে
বলতে পারো কালো কেশীর খবর কেবা জানে?
রাত্রি বলে জানি না ভাই, ছাড়ো আমার পিছু
জানার যদি ইচ্ছা থাকে চাঁদকে শুধাও কিছু।


চাঁদকে বলি, ''ও ভাই তোমায় ভীষণ ভালোবাসি
বলতে পারো তোমার মতো কাছে কার হাসি?"
মিটমিটিয়ে চাঁদটি তখন বললো আমায় শুধু
আমার মতো হাসতে পারে যে হবে তোর বধূ।


চাঁদকে যখন শুধাই আবার কোথায় তার বাড়ি?
মেঘের আড়াল থেকে তখন চাঁদটি করে আড়ি,
কোথায় যাই, কোথায় পাই, কোথায় করি খোঁজ?
অচিন মেয়ের খোঁজে আমি ঘুরে বেড়াই রোজ।