দুরের ওই অগ্নিশিখা ভগ্ন আঁখি মেলে চেয়ে আছে -
পুরবেই সে কোন একদিন ভাঙা মন যে তোমার,
নিমিষেই ছাই হবে কচুপাতার পানির মত হৃদয়।
বিয়োগান্ত বরষার জল কিংবা সূর্যের ভরা আলো
পাতালপুরীর গভীর তলদেশে তোমার স্বপ্নের ঘর।
আর কী চাও? প্রশ্নবাণে জর্জরিত তুমি!
মিছে ওই রাত্রিগুলোর কথা ভেবে আর কাঁদিনা,
আফসোসের দিনগুলো অনেক আগেই মরে গেছে!


একটা রাতের মূল্য কী শোধ করতে পারবে বল?
ঘোর অন্ধকার কিংবা আকাশের ভয়ানক গর্জন শুনে,
একটিবার অপলক দৃষ্টি দিয়ে চাঁদ মুখদর্শন করার চড়া দাম কখনও চাইবনা।
অবিরত নীল আকাশটার কান্না রাতে,
ভেজা বিড়ালের মত কাঁপা শরীর নিয়ে
ছায়া মাড়াবনা তোমার আপন আঙ্গিনায়।
কত ঘুমহীন রজনী দুচোখকে কত রাত মিথ্যে সান্ত্বনা দেয়া সবই তুচ্ছ, ছলনার ঘেরাটোপ।


অ্যাক্রোব্যাটদের চাইতেও কিঞ্চিত কম ছিলনা স্মৃতিময় সময়গুলো।
পথের সাথে সাক্ষাত হলে আজো অশ্রুকণা বর্ষণ করে নিরবে,
যে পথের সাথে পুরোন সময়ের রোমন্থন।
এখনও রাত আসে জলধারা নামে অবশেষে,
কিন্তু, আমার মেঘলা আকাশ বৃষ্টি শুন্য ।।