মুখ,মুখোশ আর প্রেয়সী


################


                          সৌমেন


সেজেছে হাসনুহানা,মালতি
আর মাধবী লতা,
বারি, বাদলে প্লাবিত দু-নয়ন,
সাথে মিশে গেছে সিক্ত পবন।


একে অপরের সাথে,যা হয় !
কখনো কখনো জানতে- অজান্তে,
অভিনয় আর অভিনয়,
বিবেকের সাথে মুখোশের,
দিনে দিনান্তে।


প্রাণচ্ছল হাসি ভরা ওষ্ঠদ্বয়,
কখনো কাঁপে,কখনো বা নির্বিকার থাকে,-ভয়?
সাজানো মেকি ফানুসের,
চেহারায় বিবস করে রাখে।


প্রাণ হীন মুখোশ!
রং পেন্সিল এর ভিড়ে
ধূসর,আবছা প্রতিবিম্ব গড়ে ।
বহুরূপী এক বিবর্ণ মুখোশ সাজালে,
মন,মানুষ আর দেহের
অন্তরালে ।
আসরে,প্রসারে,জীবন দুয়ারে,
ভেসে চলে রৌদ্রজ্জ্বল
আলো আঁধারে ।


সজনি,
সাজানো মহল ,রংমহল,
ইমারত ,সজ্জা কুঠরী,
গভীর ,দীর্ঘশ্বাসে বেঁচে আছে
প্রহরে প্রহরে প্রহরী ।
সাজানো আয়না, দেখেচলা আবেশে ,
অভাবে মুখোশের আড়ালে,
বাতাসে বাতাসে প্রতিবিম্বের
কালো ছায়ায় কেঁদে কেঁদে
রাত্রি শুধু পোহালে ।


শতপথ দূরে,শত ক্রোশ পরে,
ঘিরেধরে মুখোশে মিছিলে,
বাঁচে আর মরে, অভিনয় করে,
বিবেক দংশনে তিলে তিলে ।
সুচারু সূঁচের আগায়,
যদি বা বিবেক দংশন পায় !
মুখোশের ভারে কেবা ডাকে তারে
কেবা জানতে চায় ??


নিঃসঙ্গ পথে, একাকী জীবন রথে,
যেতে যেতে যাবে থেমে
নিদারুন স্রোতে ।
পথ ও পথিক দুয়ে হবে পৃথক,
মুখ, আর মুখশের যা ছিল রোচক ।


অভিনয় আর অভিনয়,
মুখোশ আর বিবেকের নেই- কোনো প্রয়োজন ।
রোইবে শুধু পড়ে মাটির প্রদীপ ঘরে ।
কথা কাব্যের পাতায় পাতায়
মালতি আর মাধবী লতা ।