একলা ক্লাসরুম বসে বসে ভাবে
ফাঁকা ব্ল্যাকবোর্ডের দিকে তাকিয়ে-
লাজে রাঙা কনের সাজ চুপচাপ
ভাসিয়ে দেয় সেই হিন্দী গানের সুর
কতদূর … কতদূর থেকে বাইপাসের
দিগন্তে আড়িমুড়ি ছাড়ে অবাধ্য কুকুর
সহজাত ভঙ্গিমায়;
করতালির রোল ওঠে ভাষণ শেষে
অবুঝ বাঁশের ব্যারিকেডের ভেতরে …
ময়দান আবার ফাঁকা হয়ে যায়।


রঙচটা সেমিজের কোণে
তাকে আবারো দেখেছে গোপনে,
সেই চেনা গন্ধ বেশ পাতলা
নাসারন্ধ্রে রেশ রেখে যাবে অবসাদে;
রাস্তার ধারে ওড়া রঙীন বুদবুদে
স্বপ্নের পৃথিবী ঘোরে … নেশার ঘোরে
লাল, নীল, হলুদ, সবুজ আরও কত কি!
রাশি রাশি ধোঁয়ায় উড়ে যায়
বানভাসি গোরুগুলোর অধরা হাহাকার,
আঁধারের সাথে মিলেমিশে সব একাকার।


আলুকাবলির শালপাতা হাতে কলরব
শোনা যায়না আর গেটের বাইরে থেকে,
সমুদ্রতীরের শুকনো বালিরা নীরব
আজো মেঘের দিকে তাকিয়ে থাকে-
বৃষ্টিভেজা রাত বিছানায় উসখুস করেছিল
বারবার, কে যেন জড়িয়ে ধরেছিল
ডেনড্রাইটের খালি টিউব আবার … অসহায়ভাবে!
শেষ ট্রেন হয়তো হাত ফসকে যাবে-
নাইট শো’এর টিকিটদুটো ফেটে চৌচির
যেন পানকৌড়ি … পানকৌড়িটাও ডুববে!


সামলে নিতে শিখেছে কাঁটার ছুঁচালো,
মৌন দুরত্বের হিংসুটে রক্তারক্তি-
পরীক্ষার খাতা আর কেরিয়ারের পাতা
সরিয়েছে অনন্তের প্রতি তীব্র আসক্তি।
উদ্দেশ্য ছাড়িয়ে জীবন বিধেয়ের দিকে
পা বাড়িয়ে, কেবলমাত্র রঙ ফিকে
শরীর মেখেছে দুর্নিবার হোলির দিন-
পেনের আঁচড়ে হিজিবিজি খাতা জুড়ে
জেগে উঠবে কোনোদিন রাতশেষের ঘুমে,
বিদ্রুপের বাতাস ফিরে এসেছে ক্লাসরুমে।