ফরাসী উপন্যাস, গোলাপের মাদকীয়তা আর
সুরাপাত্রে পাতলা চুমুক
দিয়ে রাতগুলো পেরিয়ে গেছিল সেবার,
কিন্তু এবার বড়ই ভাবুক
লাইম গাছটাকে দৈত্যের মত মনে হয়-
আবছা আঁধারে একাকী,
নীরবতার সাথে পিয়ানোর সুরও বয়
বাতাসে কেটে নানান আঁকিবুকি।


উষ্ণ সুগন্ধী বাতাসে গমের গন্ধ
রাতের মস্কো পেরিয়ে আরো দূর,
যেখানে আলোর ফোয়ারায় মিশেছে আনন্দ
ভল্গা নদীর জল নেশায় চুর।
কি সুন্দর রাত! অন্ধকার, সোনালী আর চঞ্চল
পদচারনার মলিন অনুভূতি,
নিদ্রাহীন চোখের কোণে একবিন্দু জল,
মদিরতা মাখা মায়াবী মোতি।


লজ্জার কিছু নাই, চোখের জল পড়েছে আঁধারে।
নিঃসঙ্গ মানুষের অনুভূতি যে বাঁচেনা,
শুধু তাকিয়ে থাকে একলয়ে
আর মাঝে মাঝে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে-
’আসবো’ বলেও সে আসেনা,
নদীর ওপর ভেসে থাকা কুয়াশা বেয়ে।
শ্যাম্পেনের বুদবুদ উপচে পড়ে বালির ওপরে,
চাঁদের আলো জীবনটা নিক বেঘোরে...।


এরকম রাতেও লোকে মরে,
কিন্তু তারা মরে আনন্দে, হায় আনন্দ!
আর তারপর যখন বসন্তের শেষ কিনারে
বনের মধ্যে দাঁড়াই, সবুজ ঝোপঝাড়ের অলিন্দ
মৃদু মৃদু দুলতে থাকে স্ট্র হ্যাটের কাছাকাছি।
কালো দস্তানা আঁটা সুন্দর হাত,
মুখের ওপর থেকে সরিয়ে দেয় নরম দীর্ঘ রাত
যেন মনে হয় ওবেরনের বাঁশির শব্দ শুনছি।