নিঃশেষ সবটুকু নিজের, আত্মবিস্মৃত অস্তিত্ব,
মিলিয়ে যাওয়া অবশেষে তাও, বাকী ছিল যা।
নেই তাড়িতচৌম্বক বিকিরণ, নেই কণাদের বিচরণ,
সময়-স্থান লুপ্ত, নশ্বর সৃষ্টি কোথাও নেই,
নিরাকার তিনি বাদে আর কেউ কোথাও নেই!
আদৌ নেই!
একেবারেই নেই!
একেই বলে হয়তো 'পরিপূর্ণ শূন্যতা'।
মনে করো, হঠাৎ কাত হয়ে আছো শুয়ে শূন্যে!
ভেসে আছো কালো আবছায়ায়!
ওদিকে প্রভু ছাড়া তোমার পাশে আর কেউই নেই!
বায়ু ব্যতীতই চলছে প্রশ্বাস।
অনুভব করো শূনতা, তব হৃদয় দিয়ে।
'কিন্তু, স্রষ্টার মিষ্টতা আমায় ডুবিয়ে দেয় আপাদমস্তক-
তাতে নিমগ্ন হয়ে রই- যেন অনন্তকাল।
প্রভু! তোমার সুন্দর চেহারা একটুখানি তুলে ধরো!
আমি চেয়ে থাকি সীমাহীন সময় ধরে।
এতো অপরূপ, অসীম লাবণ্য ঝরে তব যাত হতে,
দেখো, আমিও তোমায় কেমন ভালোবাসি- দৃষ্টি ফেরাতে পারিনা- তোমার থেকে।
আমায় আরো গভীরে, কাছে টেনে নাও।
মিশিয়ে দাও তব যাতে, আমার সবটুকু!
কিন্তু, তুমি তো 'প্রকৃত অবিমিশ্র'।*
প্রবিষ্ট হওনা কিছুতে, বা, বেরও হওনা কিছু হতে।
'সোবহান'- সবকিছু থেকে পবিত্র!
মুগ্ধ হয়ে, চেয়ে রই আমি, মেলে মোর পিয়াসী নেত্র!'
--------------------------------
*পৃষ্ঠা ১৮, 'মা'আরিফে লাদুন্নিয়া' দ্রষ্টব্য।