---------অঙ্গার
----দেওয়ান আব্দুল বাসিত চৌধুরী।
--------------
প্রেমের অগ্নিরোগ কুরে কুরে খেয়েছে
সমুদয় আনন্দ খুশি- ভস্ম করেছে এ প্রাণ
যে ভালবাসা স্পর্শ করে আমাকে পুড়েছে
অগ্নিময় করে অবিরত পুড়েছে আমার হৃদয়।
ভাগ্যের হালখাতা ছিদ্রময় করে
সমুদয় আনন্দ খুশি ভস্ম করেছে
অন্তর হয়েছে আজ জলন্ত অঙ্গার।


রাতের নিরিবিলি আজও তোমাকে দেখতে পাই
দেখতে পাই বন্ধু তুমি এসেছ কাছে-
ও প্রিয়া কাছে এসো আমাকে দেখাও তোমার।
অন্তর অনল-বুকের জখম-
আর বলো নিরিবিলি
জানি বন্ধু তুমি অনেক ভালবাসো
এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভালবাসা তোমার আর আমার।
যেমন লাইলীর মতো তোমার মন অনেক অনুপম
আজকে সব বলতে পারো আদ্যোপান্ত
যার জন্য করেছ এতো হতাশ-
তোমাকে অনিদ্রায় রেখেছে রাতের পর রাত-
প্রেমের দহনে অনিবার।


বলো বন্ধু আজ মন খুলে বলো-
হাত,চোখ,মুখ,বুক, খুলে তোমার হৃদয়ে যখন
ঝরেছে রক্তের প্রপাত।
অর্ধরাতে জেগে উঠেছো আমাকে মনে করে
প্রতিটি প্রভাতে আমার শূন্যতায়-
অনুশোচনার সমস্ত দুঃখের মনস্তাপ ঝেরে ফেলে
বন্ধু কাছে এসো-আমাকে বলো
আর্তনাদের সবকিছু,তোমার হৃদয় হোক আজ নির্ভার।
আমি শুনতে চাই তোমার গত জীবনের খুঁটিনাটি
আমাকে করো তোমার দুঃখ বিষাদের অংশীদার।
শোন তবে আজ-আমিও হারিয়েছি হাজারও রাত
বাস করছি ভবঘুরে-


অজস্রকোটি  দুঃখের রক্তপ্রবাহ নিঃসঙ্গতার
হারানোর বেদনা ঢাকি লোক দেখানো হাসিদিয়ে
কৌতুকের চাদরে।
তারপরও বুঝতে দেইনি নিঃসঙ্গতা- নির্জন সরণীর
হাসির সৌরভ লাগিয়ে রেখেছি আপন অন্তরে।
আমার আচরণ-ই আমার ভালবাসা-
সুষমাময় করে রেখেছি এমন তীব্রভাবে নিজের কাছে-
যদি বিশ্বাস না হয় বন্ধু? তবে উত্তর পেয়ে যাবে
ওই দূর সাগরে যেখানে দাঁড়িয়েছি শতকোটিবার
এখনও চিহ্ন আছে।
সর্বদা তীব্র ভালবাসার টানে
হৃদয় জুড়ে থাকা বসবাস মস্তিষ্কের কন্দরে-


ও প্রিয়া হয়ত তোমার আগে আমি চলে যাবো
যখন আমি আর থাকব না- দয়া করে-
তোমার শয়নকাটের পাশে আমার কবর দিয়ো
প্রতি অক্তে যেখানে নামাজ পড়ে
মোনাজাতে কান্না করো।
যদি আমার কথা স্মরণ করে চোখে
দুফোটা জল এসে যায়- আর কেউ দেখে ফেলে-
তখন তুমি তোমার জলভরা চোখদুটো লুকিয়ে বলো
কান্না এসেছে মোনাজাতের জন্য।
--------------
লেখক কর্তৃক সংরক্ষিত।
------