তোমার কাছে যাবো বলেই তৈরি হয়ে আছি,
বিদায় নিতে পরান্মুখ ছিলাম বটে আগে:
পথ আগলে রেখেছে চোরা স্মৃতির মৌমাছি,
থাকে তো কিছু অঙ্গীকারও পাওয়ার দায়ভাগে।

পা ফেলতেই ঘোর তমসা, পেলো নিশির ডাকে,
সসীম থেকে অসীমে যাওয়া সহজ কাজ নয়:
সরল-সোজা পদক্ষেপে কিংবা বাঁকে-বাঁকে
নতুন পথে দাঁড়িয়ে থাকে দানোর মতো ভয়!

আমার সাথে জন্মেছিলে কালো যমজ তুমি
খুব গোপনে পালিয়ে গেলে তখনি পরপারে;
আমাকে পেয়ে উল্লসিত, প্রীত মর্তভূমি
হেসেওছিলো ভয়পীড়িত আমার চিৎকারে।

কান্না ভুলে হাসতে শিখে হাসা-কাঁদার খেলা
পেরিয়ে শেষে আবারও এক প্রান্তে এসে দেখি
গোমড়ামুখো বালক যেন ছেড়ে যাচ্ছি মেলা:
কিছু জীবন নিরেট ছিলো, কিছুটা তার মেকি।

কতেক সুখ সাম্যবাদী আবেগে-উল্লাসে
প্রাসাদ থেকে বস্তিবাসী সমান হারে প্রীত;
শরীর-মন-দাঁত কেলিয়ে সুখ-সাগরে ভাসে;
কতেক সুখ প্রাসাদচারী, জনতা বঞ্চিত।

দুঃখগুলো সমতা মানে: নর্তকীও কাঁদে,
প্রজার চেয়ে রাজার মনে বিষ ঢালে না কম;
ভুল-শিকারী নিজেই পড়ে নিজের-পাতা ফাঁদে,
আচম্বিতে এসে হাজির শিশুর কাছে যম।

তুমি যে বড়ো মুখিয়ে আছো আমার পথ চেয়ে
আসলে দেবে কী উপহার? চির স্বর্গসুখ?
পচনধরা সোনার দেহ পোকায় যাবে খেয়ে?
অন্ধকারে দেখবোও না পরকালের মুখ!