সে বহুদিন আগের কথা, অনেক বছর হবে;
সঠিক কারো নেই তো জানা কোথায় কখন কবে:
সাত-পুরুষের তালুকদারী খুইয়ে রজত বাবু
স্বভাবদোষে হলেন শেষে নিঃস্ব এবং কাবু।
সব গিয়েছে, যায়নি তবু ঢোল বাজানোর শখ,
মধ্যরাতে শুরু করে চলতো সকাল তক।
রাত-বিরেতে ঘুমের ঘোরে কে আর শোনে ঢোল?
বলতো লোকে: পাগল নাকি, মাথায় গণ্ডগোল!


ত্যক্ত হয়ে আপনজনও বকতো না যে তা না--
মাথার পোকা মারলে নাড়া কে শোনে কার মানা?
বসতঘরেই রজত বাবু বাজাচ্ছিলেন ঢোল,
ঝড়ের গতি পেলো যখন 'টাক-ডুমা-ডুম' বোল
গিন্নি বলেন: হচ্ছেটা কী, থামাও তাড়াতাড়ি,
নইলে আমি দিব্যি বলি ছাড়বো তোমার বাড়ি।


ভাবের বশে চক্ষু বুঁজে বাদক আত্মহারা,
গিন্নি এলেন কুড়াল হাতে, ঢোলের দশা সাড়া।
একটি কোপেই দু'ভাগ হলো হায়রে সাধের ঢোল,
বাদক দেখেন ছাওনি আছে আগের মতই গোল!
ব্যগ্র হাতে টুকরো দু'টি বসিয়ে পাশাপাশি
হাতের টোকায় বাজছে দেখে ফুটলো মুখে হাসি!
এক টুকরো তবলা হলো, আরেকটা তার বায়া,
ভাঙা তলায় বুদ্ধি করে লাগিয়ে নিলেন পায়া।


নাম কুড়ালে রজত বাবুর তবলা আবিষ্কার
গিন্নি বলেন গর্ব করে: কৃতিত্বটা কার?