তোমার শরীর এক খোলা মানচিত্র—
আমি দৃষ্টি রাখি প্রতিটি বাঁক, প্রতিটি অলিন্দে।
শাড়ির ভাঁজে লুকানো আগুন
আমার আঙুল চায় ছুঁতে, খুলতে, পোড়াতে।

তোমার বুকের ঢেউয়ে আমার নিঃশ্বাস হারায়,
সেই উত্তাল ঢেউ ছুঁয়ে যেতে চায়—
জিভের ডগা দিয়ে নামতে নামতে পৌঁছে
তোমার উরুর সন্ধিক্ষণে।

তুমি যখন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে,
তোমার ঠোঁট কামড়ে বলো, “এসো”—
আমি ছুটে যাই,
তোমার ত্বকে রঙ লাগাতে, তোমার ভিতর ছন্দ বসাতে।

তোমার স্তনের শিখরে আমি উঠি ধীরে,
চোষে নিই তোমার নিঃশ্বাস,
আর তুমি—আচমকা উন্মোচিত শরতের মতো,
জলদীঘির ঢেউ হয়ে কাঁপো আমার কবজিতে।

তোমার মধ্যে ঢুকে আমি হারিয়ে যেতে চাই—
ভেতরের আঁধারে, আদিরসের স্রোতে,
যেখানে আমি শুধু পুরুষ নই,
একজন প্রেমিক, এক নিষিদ্ধ পুরাণের কবি।