জীবন মানেই হতাশ হওয়া
জীবন সুখের গান,
সবই হবে ধূলা-মাটি
পালালে ওগো প্রাণ।
আপন শরীর-খাঁচা ফেলে
প্রাণ-পাখি হায় উড়িয়া গেলে
অতীতের এ ভূবন-তলে
আঁচল ঘেরা মায়ের কোলে
আর যাবে না ফেরা;
আর পাবিনা খুঁজে ওরে
আপন আলয়-ডেরা।
তাইতো বলি মন-ময়ূরী
রাগ কিসের আর!
ডুবিয়া গেলে জীবন-তরী
ছিঁড়বে স্বপন-তার।
চেয়ে দেখো নেত্র মেলে
আপন রূদ্ধ-দুয়ার খুলে
আঁধার-কালো গগন পানে-
সুদূরের ওই দক্ষিন-কোনে
মেঘ জমেছে বেশ,
পবন যখন আসবে ধেয়ে
উড়ায়ে দিও কেশ।
ওপারের ও বালুকাচরে
গড়ে ওঠা স্বর্গনীড়ে
ডাক আসবে যখন ওরে
লুকোবি কোথায়, কেমন করে!
কেমনে চাইবি সময় আরো
হাত পাতিয়া ভিক্ষাছলে?
এখনি ওরে মিটিয়ে নে
সাধ-বাসনা জীবনকূলে।
প্রাণ-যান হায় বিমুখ হলে
যাবে শরীর দু'পায়ে দলে,
শুনবে না তোর কাঁদন-কথা
বুঝবে না তোর পিয়াসী-ব্যাথা;
তখন ওরে মরবি জ্বলে
জীবনদশার এমনি ভুলে।
কেহই তখন সাধবে না আর
রাখবে নাকো মনে
ফেলিয়া তোরে জ্বালিয়া দিবে
সেই--- পিতৃ-শ্মশান বনে।।