আমি তো কবি হতে চাইনে,
ঠান্ডা ঘরে লোভী আত্মীয়স্বজনের কামার্ত দৃষ্টির সামনে,
ধুপকাঠি জ্বালানো রাতে,
ভালো বাসি টাসি বলে কেঠো হাসি হাসতে পারবো না।
এর চেয়ে বেঘোরে মড়া হয়ে শুয়ে থাকা ঢের ভালো।


আমি তো কবি হতে চাইনে,
তবে অযথাই পিছনে ফিরে চোখের জল লুকাও,
দেখে ফেললে যদি বলে ফেলি – আদিখ্যেতা;
করে ফেলি প্রেমের চরম অপমান!
আর একটু সুযোগ দিয়েছ কি জড়িয়ে টড়িয়ে ধরব,
তাঁর চেয়ে দেশলাই-জীবন বেছে নেব ঢের ভালো।


আমি তো কবি হতে চাইনে,
নির্দ্বিধায় তুলে নিতে শিখেছি তাচ্ছ্যিলের দান,
তুমি ফুল হাতে এসো না আমার শেষ শয্যার পাশে;
বড্ড হাসি এসে যাবে আর শেষ হাসিটাও তোমাকেই দেব,
ভেবে নাও হঠাৎই আমি বিদ্রোহের রাত, বিপ্লবের আগুন,  
জানো মৃত্যু কত উষ্ণ, ভুল বুঝিয়েছি এতদিন তোমায়,
এর চেয়ে দিনের প্রথম আলোয় তোমার হাতে মুখ রাখবো আমি।


আমি তো কবি হতে চাইনে,
জলের ওপর আঁক কেটে কেটে চলে যায় বেশ তো এ জীবন।
এসো বৃথা কবিতা টবিতা না লিখে,
ভোরের বারান্দায় অলস চেয়ারে বসে জীবনপাত্র শেষ করি।