এক ভীষণ রক্তচাপ অথবা চিনিতে ভরা শহরের শরীর ছুঁয়ে বেঁচে আছি,
‘ভাল আছি’ বলতেই হয় কোষ্ঠকাঠিন্য চেপে,
তুমি শ্যাম আমি রাধা – এ কথা শেষ বলেছিল বেশ্যা মানুষেরা,
আমি বিশ্বাস করি না, বাধা হয় সহস্র পাহাড়।
মড়া ট্রামরাস্তায় রাতের বিচরণ সেরে –
রুগ্ন প্রভাতের অপেক্ষায় থাকি, মুখে বলি – কাল বেশ যাবে।
আর পাড়ার মুখ-ঠোঁট-যৌনাঙ্গ বাঁচিয়ে সস্তায় কিনে রাখি কন্ডোম,
কাল যদি জীবনের দাম বেড়ে যায়!
তাঁর আগেই বাড়তি যা কিছু ঝটতি-পড়তি কুড়িয়ে নিচ্ছি,
খাট না পেলে মাদুরই যথেষ্ট!
সবাই নিজেকে মানুষ বলে আনন্দিত হবার ফাঁকে ফাঁকে,
নারীপুরুষেরা সুতোহীনদশায় অভ্যস্ত হতে গিয়ে দেখে –
কখন নিজেরাই একটা শহর হয়ে গেছে।
মড়া ট্রামরাস্তাগুলো শিরার মত বইছে রাইকিশোরীর ভিতরে ভিতরে,
অনেক জল বেড়েছে গোপনে, সংগোপনে!
চিত হয়ে শুয়ে থাকে শহর অথবা মানুষ - নিজের নিজের শরীরে,
কষ্টের মত ঘুমিয়ে পড়ি বলে টের পাইনা -
বাইরে টুকরো টুকরো রোদের দারুন ওড়াউড়ি।