ও কেন বৃথাই কাঁদে গোলাপফুল?
কান্না তোকে মানায় না যে একদমই,
চোখের জল – সে যোজন দুরের এক নদী,
হৃদয়মাঝে তোর না আছে এক জমি?


রোমান্স-ভরা প্রেমের বোতল মুহ্যমান,
বাংলা মদের নেশায় জ্বলুক খড়খড়ি,
জ্বলছে সিগার দু-বুক জুড়ে রাত্রিদিন,
সাধ্য কি বল তোকে আবার পর করি?


গর্ত কেবল শহরজুড়ে রাস্তাময়,
বেআক্কেলে সুখটুকু বেশ থাক মনেই,
সব ঘরেরই গর্ত বোজাস তিক্তবোধ,
তোর মনেতে একটা কি আর গর্ত নেই?


শ্মশান-মশান সুরেই ফেরা বাউলা গান,
সস্তাদরে যাচ্ছে পাওয়া উদলা সুখ,
ভুলছে না মন – খারাপ হলেই এক গুহা,
অন্ধকারে খুঁজছি লাভার উৎসমুখ।


সাত আট বাড়ির ডিউটি সেরে রূপকথা,
ক্ষুধার্ত মুখ চাউনি ঘোলা রুক্ষ কেশ,
নগদ-বাকি হিসেব নিকেশ সব ধুলো,
ডাকপিওনের চিঠি পেলেই বিক্রি শেষ।


যজমানি-হাট উদোম হয়ে রোদ পোহায়,
বালিশ টালিশ, শোয়ার চাদর কিনেই আনি,
রাধা বিনা কানুর গীতে কাজ কি বল?
তোতে মোতে হোক না কেবল ছোঁকছোঁকানি।