জন্ম নিয়েই আমি দাঁড়ালাম লগবগে ঠ্যাঙে। ভগবান দেখলেন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে, কানে লতি থেকে পায়ের ক্ষুর। স্মিত হাসলেন। কিছুই বললেন না আর। আমি সন্তানের কাছে দাঁড়ালাম, সে বলল মনে হয় উনুনে দুধ চলকে পড়েছে। মা’র কাছে গেলাম। তিনি গভীর মমতায় আমার কানের পশম নেড়ে নেড়ে দেখলেন, বললেন – যে ভাবেই হোক দীর্ঘজীবি হও। আমার প্রেমিকা এসে পাশে বসে বললে – এই তো বেশ দেখাচ্ছে, তোমায় না হয় একটা বাহারি স্কার্ফ কিনে দেব। আমি ছিটকে চলে এলাম। চিৎকার করে বললাম –


আমি কী এতই কুচ্ছিত?
আমি কী এতই ঘৃণ্য?
আমি কী দেখতে নরকের কীটের চেয়েও খারাপ?
আমি কী আর মানুষের মত দেখতে হব না?
কেউ তো জানতে চাইলে না আমি কী খাবো?


সবাই শুধু আমার বাইরেটাতেই এঁটুলি হয়ে আছে। শরীর ছাপিয়ে মনের ভিতরে প্রবেশ মানা। আমি বুঝে গেলাম, ঐটুকু বয়সেই, লগবগে ঠ্যাঙে, শরীরের পরেই হৃদয়ের স্থান। মুখ বুজে ঢুকে গেলাম গহীন জঙ্গলে। এক আশ্চর্য-সবুজ অন্ধ সাথীর সন্ধানে।