ব্যাভিচার করেছি বলে পুরুষাঙ্গ কেটে লোহিতকনিকাময় রক্তের স্বপ্ন
গলায় ঝুলিয়ে দিলে এক তান্ত্রিক। দুরদুর করে তাড়িয়ে দিলে সারা
রাজ্য। বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে যাবার সময় একটু আলগোছে
তাকালাম, বড্ড ব্যাথা হচ্ছিল, মাথায় ক্রুশের কাঁটা। নগেনবাবু,
ইতিহাস পড়াতেন, বললেন – মৈথুন কোর, তবে প্রভুর সামনে নয়।
বিভাগের পর বিভাগ পরপর সাজানো, নারীর সাজানো ঊরুবিভঙ্গ।
এদিকে নয়, ওদিকে নয়, তুমি অন্ধ হবে। জনান্তিকে জানালাম -
তবে কি অন্ধ হয়ে থাকাটাই ব্যাভিচার নয়?


আমি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছিলাম, একটু আগেই পেছনে পরে গেছে
প্রেমিকার ছাতা। ভগবান বললেন – তুলে নে তুলে নে সোনার
বৃশ্চিক। তারপর তাই দিয়ে একটু একটু করে ছিঁড়ে ফেল চামড়ার
পর্দা, চোখেরও বলতে পারিস। আর পিছনে তাকাস না। আমি আর
কিছুতেই বাঁধ মানলাম না। অনেক কিছু হারানোর কষ্টে সহসা পিছন
পানে চাইতেই ছবিটা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হল। আমিও মেতে উঠলাম
নতুন নতুন ব্যাভিচারে। বিষ বিষ আর বিষের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হতে
থাকাটাও একটা অভ্যেস। আমি অন্ধ হব তবু ব্যাভিচার ছাড়ব না
আর আমার হারানো পুরুষাঙ্গটিকেও আস্তে আস্তে ফিরে পেতে থাকব।