ইচ্ছার বড় বেশী ইচ্ছাশক্তি, নাছোড় বান্দার মত,
বড় বেশী অশান্ত, বড় ইচ্ছাধর,
ইচ্ছা মৃত্যুর মত, প্রেমিকার মত ইচ্ছা,
যেমন আগে থেকে বলা যায় না মৃত্যু আসবে কখন,
কখন ছেড়ে চলে যাবে প্রেমিকা, তার ইচ্ছাটাকেই প্রাধান্য দিয়ে।


শুধুমাত্র কাল রাতে চেয়েছি বলে আজ হয়ত মৃত্যু আসবে না,
দুহাতে জড়াতে চেয়েছি বলে প্রেমিকাও আসবে না আর।
তাই ‘চাই’ বলে জীবনকে খেপিয়ে তোলার আর নেই অবকাশ,
দুই ঠোঁটের মাঝের দুরত্বই শুধু বাড়তে থাকে।  


আবার কাল প্রেমিকাকে পাবো বলে নিশ্চিতর কোলে মাথা রেখে ঘুম,
আর মৃত্যু এসে সেই ইচ্ছার ঘটাবে পরিসমাপ্তি।
সব নগদের চিন্তা বাকি থেকে যাবে পরজন্মের জন্য,
যদি কিছু থাকে।


তাই আজ ইচ্ছাটাকে বড় বেশী,
বলা যায় একদমই বিরক্ত করি না; ও থাকে প্রেমিকার মত,
সামান্য ছুঁয়ে, তবে পুরোপুরি আঁকড়ে নয়,
নান্দনিকতার স্তরে, জ্বলন্ত কামনা হয়ে নয়,
শুধুই হয়ত ইচ্ছার মত ঐচ্ছিক, মৃত্যুর মত অবধারিত নিয়ম মেনে নয়,  
আসলে ইচ্ছামৃত্যু বলে তো কিছু হয় না।