আমার মৃত্যু-পরবর্তী দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করা হোক,
বিশেষ করে মৃত্যুর অব্যবহিত পরে আমার দেহদানের অংশটা,
দিনে ভাসা পাঁচ রাস্তার মোড়ে,
বিশাল স্ক্রিন বিদেহী আত্মার মত একঠাঁয়ে দাঁড়িয়ে,
কে বলেছে তালগাছই শুধু দাঁড়াতে পারে একপায়ে?


এক এক করে ছিঁড়ে বের করে আনা হবে আমার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ,
গোপন অর্থে বর্নিত কোন অঙ্গই থাকবে না আর,
তোমার একান্তে দেখা, এবার সবার সাথেই রং মেলাবে বলে বদ্ধপরিকর।
বিলিয়ে দেওয়া হবে সেই সব কবিদের মাঝে,
যারা ভাবতো শুধুই আমায় নিয়ে, কবিতা নিয়ে আরো বেশী,
ওদের কারো ফুসফুস নেই, কারো পিলে, কারো যকৃৎ, কারো শিরদাঁড়া,
কে যেন বলেছিল, পরিতৃপ্তি পায়নি বলে কবিতা আসেনি কোনরাত্রে,
আহা! আমার অব্যবহৃত অঙ্গটি তারই জন্য।


এক এক করে ছিঁড়ে বের করে আনা হচ্ছে আমায়,
ঠিক ধরা যাচ্ছে না সব মিলিয়ে একখানা আস্ত ‘আমি’ ছিলাম,
যেন একপাতা ভরা কবিতা,
এতদিন অপ্রকাশিত,
ছিঁড়ে ছিঁড়ে দিলে মিলিয়ে যাচ্ছে শহুরে উষ্ণবাতাসের ঘোরে।
তোমরা কফি আর কেক খেতে খেতে উপভোগ কোর সেদিনের সন্ধ্যে।


এবার চোখ, ওটা নিতে চাইল না প্রায় কেউই,
দেখেও না দেখার ভান করা থাকা দুটো চালশে পড়া চোখ,
এখন সম্পুর্ন বোজা, বন্ধ করা ছিল অনেক আগে থেকেই।


অবশেষে হৃদপিণ্ড,
ওটা তোমার জন্য পরমা, শুধু তোমার জন্য,
শুধু ওটারই অভাব ছিল তোমার,
দিয়ে গেলাম।