আমি জানতাম, তুমি মাঝপথে ধরবে হাত,
জানতাম বলবে, বিকেল শেষ হয়ে এল,
এবার চলো, কবিতা লেখা থামিয়ে একটু হাঁটি,
এই শেষ বসন্তে অনেক মুকুল ধরেছে আমগাছে,
চলো একটু নিঝুম হই, অবলীলায় হাত বাড়িয়ে ছোঁয়ার চেষ্টা করি,
তুমি আমাকে, আমি তোমাকে, তুমি আমাকে, আমি ......


আমি ওপথে যাব না বন্যা,
আমি মাছে-ভাতে-নজরুলে অভ্যস্ত হয়ে গেছি,
অনেকটা পথ তো চলেছি দৃঢ়, কখনো বা নুব্জ হয়ে দায়িত্বের ভারে,
মান্ধাতার আমলের দেওয়াল ঘড়ি জানান দিচ্ছে,
কবিতা আসুক বা তুমি, এখন ঘুপচি অরণ্যে চুপিসারে থাকার সময়।


আমি প্রতিবাদ করি না বন্যা, আমি জাগরণে নেই,
আমি বরফাচ্ছাদিত কবিতা লিখি, বসন্তের গান গাই না।
মনে আছে প্রখর রোদ্দুরে পুড়ে যেতে যেতে আমি বলেছিলাম ---
       চল আজ হাত পাতি নীল সমুদ্রের কাছে
       কাছে পেতে তোমাকে চাই আরেকটু কাছে
       কারাগার ধ্বংস করে খুলে দাও জানলার গতিপথ
       আমাদের পরের প্রজন্ম আনবে আলোকবাহী রথ
তুমি শোনোনি।


তুমি একাই যাও বন্যা,
শুধু যাবার সময় ঘরে ফেরার দরজাটা বন্ধ করে দিও,
আমি একটু ঘুমোবো।