দেখো আমি ফিরে এসেছি ঠিক,
এখনো তোমার স্বামীর রেখে যাওয়া গতপরশুর ফুল,
তোমার সমাধির আশেপাশে ইতিউতি ওড়ে।


দেখো এখনও পড়ন্ত দুপুরের রোদ ছুঁয়ে ফেলতে চাইছে তোমায়,
ঠিক যেমন তোমায় ছুঁতাম আমি নানা অছিলায়,
জানো কলকাতার ভরদুপুরে আমি দেখে এলাম পেঙ্গুইনের দল,
জোড়ায় জোড়ায় হাঁটছে রাসবিহারীর রাস্তায়,
অথচ একজনও কেউ অবাক হচ্ছে না, যেমন আমি অবাক হলাম।
অথচ একজনও কেউ এখন কবরখানায় নেই –  
যাকে দেখে ভাবি, এখনও মানুষ আছে পৃথিবীতে।


জানি সমাধির নিচে তোমার শরীর –
যে শরীর আমার কাছে নিভৃতে ছায়াস্নান
যে শরীর আমার কাছে বেদুইনের মরুদ্যান
যে শরীর আমার কাছে কবিতার সূতিকাগার
যে শরীর আমার কাছে সন্ধ্যেয় জ্বলে ওঠা আলো
যে শরীর আমার কাছে ফিরে আসার যোগ্য অনুপাত।
    
তবুও দেখো আমি ফিরে এসেছি ঠিক; কারন -
আমি তোমার সামনেই কাঁদতে চাই, ঈশ্বরের সামনে নয়।