তুমি যতটা ভাবতে পারো দুরে,
ঠিক অতটা না হলেও জীবনের শেষ চুম্বন থেকে অনেকটাই,
যেখানে বোবা শিশিরের অজস্র বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে কবিতার মত কুয়াশা,
যেখান থেকে অধীর বৃষ্টি জানিয়ে দিচ্ছে ‘এই তো এলে!’
তোমার সাড়া পাবার শেষ চিহ্নটুকুও বোবা স্মৃতি হয়ে সমাধিস্থ,
তার প্রায় কাছাকাছি অবস্থান আমার চিরতুষারের দ্বীপে।
‘তুমি সাড়া দাও, তুমি জানাও তোমার অবস্থান, তুমি খোঁজ’......
এমনও তো বলা চলে তোমার নিজস্ব গ্রহ থেকে।
তবু ঠান্ডা লাশকাটা ঘরে চাইব না ভালোবাসার মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদ হোক,
চাইব না আশার নীল আলো জ্বালিয়ে বলি – ‘সাড়া দাও মেয়ে’।


চাইব তুমি ঘুমাও,
অপরাজিতার সদ্যফোঁটা পাপড়ির মত এক অলীক স্বপ্ন  -
মাখা থাক তোমার আরেকটা নতুন জীবনের প্রারম্ভের ইতিহাসে।
কি লাভ বলো, নৈতিক ভালোবাসার সাপ হয়ে বেঁচে থেকে?
বুক দিয়ে ঘষটে ঘষটে বার বার চাওয়া, বার বার পাওয়ার বঞ্চনা?


অনেক বছরের সঞ্চিত হৃদয়ের বিষভান্ড খালি করে,
আমি নোয়ার জাহাজের যাত্রী; আবার সব কিছু প্রথম থেকেই শুরু হোক।
কত স্কোয়ার মিটার বা বর্গফুট প্রেম মেপে দিলে;
সেটার হিসেব তোমার কাছেই গচ্ছিত থাক।
ভেতরে ভেতরে সব কান্নাকাটির জলপ্রপাত তুমি সৃষ্টি করে চল।
আমি প্রপাতের শব্দ ঢাকতে কান চেপেছি চিরতরে,
কিছু কিছু শিশিরের বোবা নিঃশব্দতা অসংকোচে জমা রাখি নীরবে।


এখন শুধু নোঙ্গর তোলার অপেক্ষায়।