মেঘ ডাকছো না অনেক দিন হয়ে গেলো,
শ্বাপদ সংকুল গুহায় এ কি একাকী অবস্থান!
শিকড়ে শিকড় ঘষে শরীর জ্বালিয়ে রাখতে চাও –
তবু একবারও মেঘের প্রত্যাশা কর না!
আমায় দুচোখের পাতা বুজে রাখার শক্তি দাও,
যা কিছু পুড়ে গেছে তার অস্ত্বিত্বে অনধিকার প্রবেশ চাই,
আমি জানি মহাশুন্যে কোন নারীগ্রহের ভাষার আবেগ আছে -
তুমি রাজা সেজে সেই রাজত্ব ভোগ করতে চাও।
তবু আমার জন্য মেঘের আগমন  ত্বরান্বিত কর,
আমি লোভের প্রতিচ্ছবি এঁকেছি অ্যাকাডেমীর বাড়তি দেওয়ালে,
গতসন্ধ্যাতে দর্শকের ভ্রুন তাতে উগরে দিয়েছে শ্লীল, যত পেরেছে।
ঈশ্বরের জাত বিচার করতে করতে তুমি ক্লান্ত জানি –
তবু কতদিন চেনা সুরে গিটারে ছোঁয়াও নি আঙুল,
আমি আজ এক অরণ্যের স্থায়ী বাসিন্দা, এখানে অনেক বৃক্ষ -
তবু আরও একটা বীজ বুনে দিতে এসো একবার।
কারন তোমারও ভাবা উচিৎ -
আমি কি প্রতিমা যে আমাকে বারে বারে গড়বে?
তুমি শিল্পী হলেও জানবো সে শুধু অনধিকার চর্চার ফসলমাত্র।