যদি আরও একবার; দুইবার; অথবা সাময়িক হারাই কৈশোর;
ছাতিমতলায় গুটি মেরে দেখে নেব পরাজয়ী দীঘি!
খুঁজতে চাইব না কলঙ্ক; দেখে মরতে চাইব না কলঙ্কের ছাই,
আমি যে আজো খুঁজে নিতে চাই –
বুঝে নিতে চাই চুম্বনের গাঢ় দাগ; তৎসম সঞ্চয়।
কারন কৈশোরে ফিরে যাবার মাঝের সময়টুকুতে;
সে দাগ কলঙ্ক হয়ে উড়ে যাবে এদেশে, ওদেশে, নিশ্চিত কোন নিরুপম গ্রামে।


ঠোঁটের আজন্মপালিত মধুচিহ্ন রক্ত ঝরাবে কোন অনামিকার দেহে,
আমার ছুঁয়ে ফেলার বোধ – এক নির্বোধ অলকসময়;
এক লালিত জ্যোতি।
সেই সময়টুকুতে বরং ভাবি প্রসারিত শান্তির উপত্যকা,
এক নারীর; এক ফেলে আসা কৈশোরের নারীর পিঠের মত উপত্যকা;
বুকের কাছাকাছি সঞ্চয়ে রেখেছি; গোপনে;
পাছে আরও একবার সাময়িক হারাতে যাবার প্রাকমুহুর্তে –
অন্য কেউ চুরি করে নিয়ে যায়;
অতএব হে নিষাদ, আত্মসমর্পনে রাখি এসো শেষ কৈশোরের আশ্চর্য তূণীর।