গলির মুখটা আজ বড় অন্ধকার,
ভিতরে হরেক ভিড় অভাবী টাকার,  
অথচ একটু আগেই তো পেরিয়েছি বড় রাস্তা
হাতছানি অবিরাম – ‘পেলি কি যা চাস তা?’
‘কবি’ বলে খেপিয়েছে কিছুটা যারা,
                      দেখলাম তাদেরও -
কিছু খাতা ছিঁড়ে গেছে, কিছু আছে খেড়ো।
কি হাস্যকর! কি হাস্যকর!
এত সব গোঁজামিলে পেরোতে হয় তোদের এক একটা আলোকবছর!
তবুও এ আমার নিজস্ব গলি;
                  বড় চেনা পথ,
চরিত্র সিধে করে পেরোতে হবে কঠিন শপথ।
সেই চেনা ফতিমা-রা – ‘যাবেন নাকি?’
এতকাল কবি সেজে থেকে; শেষকালে -
           - "দুর ’হ,  দুর ’হ আবাগী।"
আসলে ঘুমোতে চাই –
           পরিবারে আসক্ত ভিক্ষুকের মত।
প্রবলতম অকাব্যের বীজ গিলে -  
           লুকোতে চাই নিষিদ্ধ ভার্জিন ক্ষত।
গলির মুখটা আজ আরো বেশী ঠাস অন্ধকার,
তাই এই মুহুর্তে আঠালো ঠোঁটের চুম্বন দরকার; আর -
একতাড়া কাগজ, একটা মেয়ে, লুম্পেন চেতনা, একদলা ঋন....
এঁটো হাতে বাড়ি ফিরি কবি আমি চরিত্রহীন।