সুবলা অনাথ নারীভবনের ঠিক সামনের রাস্তায়,
আজ সারাদিন প্রচন্ড রোদ্দুর ছড়িয়েছে ওর পুঁজমাখানো পিঠে,
এক ঘুর্নায়মান বাতাস, কিছু কুচো-খুচরো পাতা;
ইতস্তত ছড়িয়ে যাচ্ছিল ওরই আশেপাশে;
জানা ছিল আগেই, নোনাধরা চার দেওয়ালের মধ্যে অনাথ মেয়েদের মতো;
ও কাঁদে; যৌবন তো ওরও আছে, অনাথ মেয়েদেরও আছে।


একটু দুরেই, সামান্য;
এক মন্দিরে সন্ধ্যে আরতি শুরু হয়েছে,
পুরোহিত পুজায় ব্যস্ত মা’কে তুষ্ট করতে, ওর যৌবন চলে গেছে।


আজ সারাদিন প্রচন্ড রোদ্দুর ছড়িয়ে ক্লান্ত হয়েছে সবকিছুই,
প্রবল যৌনতায় ভুগে ভুগে শান্ত হয়েছে আজকের মত খিদে ওর,
না খেতে খেতে খিদেটাও মরে যায়, তাই না?
আর সারাদিন পাগলটার দিকে চেয়ে চেয়ে এক অনাথ যুবতী দীর্ঘশ্বাস  গোপন করে।


আমার ভয় করছে ওরা হয়ত ঘুমিয়ে পড়বে কাঁদতে কাঁদতে,
ওরা হয়ত আর আকাশের কান্না দেখবে না,
ওরা হয়ত একে অন্যের নগ্ন বুকের আমেজ পাবে না আর কোনদিন!
আমিও চায়ে সামান্য চিনি কম হয়েছে বলে দুঃখ পাব।


আমি, মানুষ, শুধু নিজের কষ্টটাই বুঝি।