আলপথ ধরে হেঁটে আসছিলাম; দেখলাম;
আমার ছোট্ট মা তার ফুলুমাসীর সাথে -
তুলসীতলায় প্রদীপ জ্বালাতে ব্যস্ত, সদ্য কিশোরীর ফ্রকে,
সামান্য নারী হবার উপবীত ধারণ।


পিঠজালীর মাঠে দাঁড়িয়ে সে কোন রাখাল,
আমার মায়ের দিকে তাকিয়ে একদৃষ্টে;
ফুলুমাসীর কাজলচোখ এড়িয়ে মা-ও তাকানোর অবকাশ পায়।
কিন্তু ঈশ্বর রাখালকে আমার বাবার সম্মান দিতে চান না।


তাই মায়ের বিষণ্ণতা দেখি, দেখি হীমশীতল মাঠে –
একটা দুটো খড় উড়ে যাবার দৃশ্য,
এখনি কমলার গোলা হয়ে ঘুমিয়ে পড়বেন সবিতা।  


আমি পাশ কাটিয়ে যাবার আগে,
রাখালের দিকে তাকাই, তার ক্লান্ত চোখে শেষ বসন্ত আঁচল ছড়ায়।
জানলাম এ প্রায় ষাটবছর আগের এক গ্রাম।
ষাটবছর আগে নিভে যাওয়া প্রথম ভালোবাসা।
ষাটবছর পরেও জানতে চাইব না আর।