শীতের ভয়ালবানে            প্রকৃতির মৃদু টানে
           পুস্পলতা গিয়াছে মরিয়া ।
শীতেতে কাঁপিয়া ওঠে       ধেনুগুলি নিজ গোঠে
           পর্নরাশি গিয়াছে ঝরিয়া ।।
আকাশের পেঁজাতুলো         সমমেঘরাশিগুলো
             ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ।
সারস ছারিয়া পাখা          বসিল দুলাইয়া শাখা
           শিমুল নাম্নী তুলো গাছে ।।
সারি সারি মরালীরা        ভাসাইয়া নিজ গ্রীবা
           দলবাধি জলকেলী করে ।
শকুন চুমিয়া গগন            মৃত্যু করিয়া পণ
          উড়িতেছে সবার উপরে ।।
কদম্ব-কেতকি গাছে        শীতের প্রকোপে পাছে
          ঝুলন্ত দুলোনো লতাগন -
হতে ঝরিবে পাতা          সেই ত্রাসে স্বনর্লতা
         তরুগনে করিছে আলিঙ্গন ।।
ঝরাপাতা বৃক্ষতলে        আসিতেছে দলে দলে
           তীথর্পথ-যাত্রী-গন ।
শীত হতে বাঁচাইতে         নিজে পড়ন্ত শিশিরে ভিজে
         করিছে সঘন ।।
শীতের ভয়ালরুপে         ঈশ্বরের খেয়াল ভেবে –
          অন্নদাত্রে দিয়া প্রানমন –
একতারে দিয়ে তান      সঙ্গে বাউলগান
         গাহিছে অনামী কোনজন ।।
দিবস রাত্রীময়            উত্তুরে বাতাস বয়
         গৃহীগন বসিয়া নিজগৃহে ।
পুত্রপরিবারসহ          খেলা করে কেহ
         দুঃখসুখের কথা কহে ।।
শীতের প্রবলঘাতে      সরোবর ও দীঘিতে
         মরিয়া গিয়াছে শতদল ।
তবুও বাঁচার ঘোষনা     করিছে সুশোভনা
        আধফোঁটা কুমুদকমল ।।