সারাদিন পথ হেঁটে আমি ক্লান্ত নিরব দর্শক।
দুপাশের টি.ভি.র অ্যান্টেনায়
আকাশ দেখা দায়
গাড়ির নতুন রঙ্গের গন্ধ
উষ্ণ আতর
ছড়িয়ে পড়ে পথে
ক্রুদ্ধ মনে প্রশ্ন ওঠে
কেন এত ক্ষুধা?
মাঝে মাঝে হয়ত, উলট চন্ডাল
ঐ বলিভুকগুলোর মনের বেদনায় –
আকাশে রঙীন ফুল ফোঁটায়
কত সুন্দর আকাশ! অনন্ত আকাশ মাঝে
কলঙ্কিনী চাঁদ (!) তাও কত সুন্দর!
মা ভোলান শিশুকে
চাঁদ আয়, চাঁদ আয়!
তিমির রজনীর প্রখর প্রহরগুলো কাটিয়ে
মা’কে অন্ধ শিশুর
করুন আর্তি
বেদনামাখানো কটি উক্তি স্ফুরিত হয় –
চাঁদ কি রুটির চেয়েও সুন্দর
মা?
তোবড়ানো থালায় কনামাত্র
হতাশার ধ্বজা তোলে।
অন্ধ চোখের অশ্রুর ভান্ডার আজ
ধুলির ন্যায় শুস্ক।
চটকদার কাপড়ের ঝলকানি
অন্ধ চোখকে আরও অন্ধ করে,
কান্না বিজড়িত কন্ঠে
হ্রদপিন্ড চিপে ধরে প্রতি রক্তবিন্দু নিংড়ে নিয়ে
নতুন চিৎকার –
তোমরা এভাবে বেঁচোনা,
এটা জীবন নয়
এভাবে বেঁচে কোন লাভ নেই,
মানুষের মত বাঁচো –
তোমরা ...
হায়!
তারা বধির, শুনেও চায়না শুনতে।
হয়ত প্রানের তাগিদে
তারা জোরদার করে বুঝতে চায়
নতুন রংকরা জানালার
রেশমি পর্দ্দা তুলে
ঘৃনাভরে ছুঁড়ে দেয়া আবর্জনার টুকরো
তাদের দাবী আশা ভরসা।
উচ্চাকাঙ্খা সেথা শব্দমাত্র।


বিছানা? চাদর? বালিশ?
কোট? প্যান্ট? টাই?
কিংবা কিছু গরম কাপড়?
টি.ভি.র অ্যান্টেনার মত
অস্টমাশ্চর্য!
অতীত বিস্ময়
আবার শুধুমাত্র শব্দ কিছু।
নিরব দর্শক আমি
ক্লান্ত বুকে
কামারের হাঁপর চলে,
তবু হেঁটে চলি আমি ক্লান্ত নিরব দর্শক।