অনুর্বর রাজপথে,
এক ঝাঁক তিমিরের স্রোত  ...
হিংস্র শান্ত স্তব্দতাকে কেমন পোষ মানিয়ে দেয়।
পুকুরের চাঁদখানা খন্ড খন্ড হয়ে গেছে;
কবে,
আজ শুধু ডুবন্ত চেতনায়;
বসে বসে ঢেউ – এর মাত্রা গুনে চলা --
এক...দুই...তিন...।


এত আজ
কান পেতে শোনা,
এক মুঠো চাঁদের কাছাকাছি, বুড়িচীলের হাহাকার --
ক্ষুধিত পাষান কি বিবস্ত্র হারেমের চাপা সুর।
তারা কি গেছে চলে --
ক্ষয়া মাটিতে মাথার সুডৌল দাগ কেটে কেটে?
এক...দুই...তিন...।


শীতার্ত বুড়িটির মত পরনের কাপড়ের রঙ ...
সমৃদ্ধ কাপড়ের রাশী প্রলুব্ধ তারনার বেগে মোহময়ী হয়ে উড়ে এসেছিল।
শান্তির প্রাকারে ঘা খেয়ে পড়েছে আজ
প্রথম জন্মের টাইটানিক।
ঐ ’ত কালও ওরা ... মুটে, কুলী, মজুরের দল ...
উড়ে গেছে আজ .. কালো এলব্ নদীর হলদে ঝড়ে।
উড়ে গেছে .. ঝড়ে গেছে .. টলমলে চেতনার অনুভুতিগুলো --
এক...দুই...তিন...।


বংশচক্রে ঘুড়ে আসা --
কড়াপরা নীলচে নগ্ন আঙুলগুলো থেকে --
গাঁইতি, কুড়ুল, কোদাল খসে গেছে কাল।
আজ শুধু রক্তের রংগুলো কালচে হয়ে আসে।
এসো আজ,
হিসেবের আবশিস্ট শেষ পাতাটাতে ...
সমাধিকে সাক্ষী রেখে ...
ক্রমাগত দাগ টেনে চলি...
এক...দুই...তিন...।